দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-১১ ( চৌদ্দগ্রাম ) আসনে জামানত হারানো স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ থেকে নৌকা প্রতীকে জয়ী সংসদ সদস্য ও সাবেক রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক মুজিবের বিরুদ্ধে আজ ১৪ই জানুয়ারি রাজধানী ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন ডেকে নিজেই উধাও।
নির্ধারিত সময়ে ঢাকার সব মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত থাকলেও জামানত হারানো প্রার্থী নিজে অথবা তার পক্ষে কাউকে আসতে দেখা যায়নি প্রেসক্লাবে। সাংবাদিকরা নির্ধারিত সময় থেকে ২ ঘণ্টা অপেক্ষা করেও কাউকে আসতে এবং সংবাদ সম্মেলনের কোন আয়োজন না দেখে মিজানুর রহমানকে তার মুঠোফোনে কল করলেও তিনি সাংবাদিকদের কল রিসিভ করেনি।
সাংবাদিকদের মূল্যবান সময় নষ্ট করায় সেই সময় প্রেসক্লাবে উপস্থিত সাংবাদিকরা কুমিল্লা-১১ ( চৌদ্ধগ্রাম ) আসনে জামানত হারানো স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমানের এই কার্যক্রমকে ধিক্কার জানায়, এবং ভবিষ্যতে জাতীয় প্রেসক্লাবে মিজানুর রহমানের সব সংবাদ সম্মেলন বয়কট এর ডাক দিয়ে প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলায় মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হল থেকে বেরিয়ে যায় উপস্থিত থাকা সাংবাদিকরা।
এসময় প্রেসক্লাবে উপস্থিত অনেক সিনিয়র সাংবাদিক আলোচনা করে, নিশ্চয়ই নৌকার বিজয়ী প্রার্থির বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করার জন্যই এই সংবাদ সম্মেলনের ডাক দেওয়া হয়ে ছিল, এবং সঠিক তথ্য উপাত্ত না থাকায় মিথ্যা অভিযোগ সাংবাদিকদের নিকট প্রকাশের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের ভয়েই হয়তো এই সংবাদ সম্মেলন ডেকে কেউ আসেনি।
এই সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হককে কল করা হলে তিনি বলেন, ‘উন্নয়নের জন্য চৌদ্দগ্রামবাসী নৌকা মার্কায় বিপুল ভোটে আমাকে বিজয়ী করেছে, এবারও ষড়যন্ত্রকারীরা আমাকে হারাতে পারেনি। আমি কৃষকের সন্তান, সবার পাশে থাকি। তাই জামাত – বিএনপির মদদে এবং তাদের থেকে টাকা নিয়ে পরাজিত প্রার্থী মিজানুর রহমান অবাধ-সুষ্ঠু এই নির্বাচন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই বিজয় ও অগ্রযাত্রাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে না ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে বলে শুনেছি। আমি দলীয় মনোনয়ন আটবার পেয়েছি, এবারসহ পঞ্চমবারের মত সংসদ সদস্য পদে নির্বাচিত হলাম।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনে সাবেক রেলপথমন্ত্রী ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল হক মুজিব পঞ্চমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে মো. মুজিবুল হক ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর হুইপ হন। এরপর তিনি ২০১৩ সালে রেলপথমন্ত্রী হন।