নাটোরের আলোচিত কলেজশিক্ষিকা খায়রুন নাহারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। প্রাথমিকভাবে শ্বাসরোধ হওয়ার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।
নাটোর সদর হাসপাতালের তিন সদস্যের একটি চিকিৎসক দল ওই কলেজ শিক্ষিকার ময়নাতদন্ত করেন।
নাটোর সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. পরিতোষ রায় গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ময়নাতদন্তে কলেজ শিক্ষিকার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে শ্বাসরোধ হওয়ার কারণে তার মৃত্যু হতে পারে। আলামত ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ভিসেরা রিপোর্ট আসলে আরও বিস্তারিত জানা যাবে।’
এদিকে খায়রুন নাহারের মৃত্যুর ঘটনায় তার চাচাতো ভাই সাবের উদ্দিন বাদী হয়ে রোববার (১৪ আগস্ট) রাতে নাটোর সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেছেন।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ প্রথম খবরকে জানান, রোববার রাতে খায়রুন নাহারের চাচাতো ভাই সাবের উদ্দিন বাদী হয়ে থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেছেন। মামলায় কাউকে অভিযুক্ত না করায় নাটোরে কলেজ শিক্ষিকা খাইরুন নাহারের মৃত্যুর পর আটক স্বামী মামুন হোসেনকে সোমবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়।
ছুটির দিন হওয়ায় বিকেল সাড়ে ৫টায় তাকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোসলেম উদ্দিনের আদালতে হাজির করা হয় তাকে। বিচারক শুনানি শেষে তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম সারোয়ার স্বপন প্রথম খবরকে বলেন, ‘মামুন হোসেনের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ আনতে পারেনি পুলিশ।
এ কারণে ৫৪ ধারায় তাকে আদালতে পাঠিয়েছে। সুতরাং তার জামিন আমরা পাওয়ার হকদার। ’ আগামীকাল পুনরায় জামিনের জন্য আবেদন করা হবে বলে জানান তিনি।
কোর্ট দারোগা আরিফুল ইসলাম বলেন, যেহেতু খাইরুন নাহারের মামলাটির তদন্ত চলছে। সে কারণে তাকে জামিন দেওয়ার বিরোধিতা করা হয়েছে। আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেছেন।