নারী প্রধান শিক্ষককে পেটালেন প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা

খাগড়াছড়িতে সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সুভায়ন খীসার বিরুদ্ধে এক নারী প্রধান শিক্ষককে মেরে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) দুপুরের দিকে সুভায়ন খীসার কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

আহত প্রধান শিক্ষক মৌসুমী ত্রিপুরা খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি জেলা সদরের মহালছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন।

মৌসুমী ত্রিপুরা অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ের বাউন্ডারি ওয়াল নড়বড়ে অবস্থায় আছে। বিষয়টি লিখিতভাবে জানানোর জন্য সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুভায়ন খীসার অফিসে যাই। এতে তিনি ক্ষোভ দেখিয়ে তেড়ে এসে আমার গায়ে হাত তোলেন। তার কিল-ঘুষিতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে অজ্ঞান হয়ে গেলে অফিসের অন্যরা আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।

খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. মিথিলা বড়ুয়া বলেন, তার বাম চোখের নিচে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সেখানে দুটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। অবজারভেশনে রাখতে তাকে ভর্তি করে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।

তবে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষা অফিসার সুপায়ন খীসা বলেন, আমি তাকে কিল-ঘুষি মারিনি। তার বেপরোয়া কথাবার্তার কারণে তাকে সরিয়ে দিতে ধাক্কা দিয়েছি। তখন তিনি দরজায় আঘাত পেয়ে পড়ে যান।

এদিকে, ঘটনার খবর শুনে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত শিক্ষিকাকে দেখতে আসেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফাতেমা মেহের ইয়াসমিন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, অভিযোগ পেলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো।

Share this post

PinIt
scroll to top