ফরিদপুরে ৫৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্লাবিত, দিশেহারা চরাঞ্চলবাসী

ফরিদপুরে পদ্মার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১০৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির ফলে জেলা সদর উপজেলা, চরভদ্রাসন ও সদরপুর উপজেলার ৫৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া ৪টি উচ্চ বিদ্যালয় ও ১টি দাখিল মাদরাসা প্লাবিত হয়েছে। ২০টি বিদ্যালয়ে পানি ছুই ছুই অবস্থায় রয়েছে।

এদিকে জেলা সদর থেকে চরভদ্রাসন ও সদরপুর উপজেলার সড়কটির ৫০ মিটার ধসে যাওয়ায় যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।এছাড়া ওই সড়কের কয়েকটি স্থান পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে এবং বিভিন্ন অংশে ফাটলও দেখা দিয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে ফরিদপুর শহরের বর্ধিত পৌরসভার ২৫নং ওয়ার্ডের একটি পাকা সড়ক পানির চাপে ধসে গেছে।

ফরিদপুরে বন্যা কবলিতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে জেলা প্রশাসন। গত কয়েকদিন যাবৎ জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের নির্দেশে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণসহ নানা সহায়তা করে আসছেন।

এবার জেলা প্রশাসক অতুল সরকার নিজেই বন্যা কবলিতদের মাঝে হাজির হয়ে তাদের হাতে তুলে দেন খাদ্য সামগ্রী। এ দুর্যোগকালীন সময়ে জেলা প্রশাসকের হাত থেকে ত্রাণ পেয়ে খুশি দুর্গত এলাকার মানুষ।

সোমবার (২০ জুলাই) সদর উপজেলার নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের গোলডাঙ্গীর চর গ্রামে ৫ শতাধিক বন্যার্ত পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার, পানি রাখার ক্যান ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবেলট বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক অতুল সরকার।

করোনা ও বন্যার সংকট ধৈর্য নিয়ে মোকাবিলা করার আহ্বান জানিয়ে জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, এ দুর্যোগকালীন সময়ে প্রচুর পরিমাণে সরকারি সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।বন্যায় কোনো মানুষ না খেয়ে থাকবে না, পানিবন্দি সকল মানুষের কাছে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published.

scroll to top