বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির (বাচসাস) নির্বাচনে পুনরায় সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন ফাল্গুনী হামিদ। এবার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন শপথ চৌধুরী।
গতকাল রোববার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও বাচসাসের প্রধান নির্বাচন কমিশনার রফিকুজ্জামান চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা করেন। কোনো বৈধ প্রার্থী না থাকায় ফাল্গুনী হামিদ ও শপথ চৌধুরী প্যানেলকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত বলে ঘোষণা করে পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন বোর্ড।
সভাপতি পদে ফাল্গুনী হামিদের বিপরীতে কাজী ফারুক বাবুল মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু মনোনয়নপত্র ত্রুটিপূর্ণ ছিল বলে তার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়। আগামী ১ সেপ্টেম্বর এফডিসিতে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় ভোটের প্রয়োজন হচ্ছে না।
আগামী ২ বছরের (২০২২-২৪) জন্য নির্বাচিত কার্যকরী কমিটিতে আছেন জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি আবিদা নাসরিন কলি, সহ-সভাপতি সৈকত সালাউদ্দিন, সহ-সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মঈনুল হক রোজ, অর্থ সম্পাদক মঈন আব্দুল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক লিমন আহমেদ, আর্ন্তজাতিক ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক জনি হক, ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক মাহমুদ মানজুর, সমাজকল্যাণ ও মহিলাবিষয়ক সম্পাদক শ্রাবনী হালদার, প্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক মীর সামী, দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া।
বাচসাসের কার্যনির্বাহী সদস্যরা হলেন ইব্রাহিম খলিল খোকন, তুষার আদিত্য, রেজাউল করিম রেজা, এম এস রানা, শফিক আল মামুন, দাউদ হোসাইন রনি, আল কাছির ভূঁইয়া, এ.টি.এম মাকসুদুল হক ও কামরুজ্জামান বাবু।
পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন বোর্ডে ছিলেন রেজাউল হক শামীম, ইকবাল খোরশেদ, আলী ইমাম সুমন এবং মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন।
ফাল্গুনী হামিদ বলেন, ‘আগেরবার যখন নির্বাচিত হলাম, তখন করোনার কারণে প্রায় ১৫ মাস আমরা অনেকগুলো পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারিনি। তারপরও আমরা বিভিন্ন ত্রাণ কার্যক্রম চালু করেছিলাম। চলচ্চিত্রের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সভা-সেমিনার করেছি। একটি সফল পরিবার দিবস করেছিলাম। এবারে অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করতে চাই।’
সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে শপথ চৌধুরী বলেন, ‘সুসাংবাদিকতার দিকে জোর দিতে চাই।আমাদের সাংবাদিকদের পেশাগত কাজে যেন কোনো সমস্যা না হয়, সাংবাদিকদের কল্যানে যা যা করা দরকার এবং সর্বশেষ কমিটি যে ধারাবাহিকতায় কাজ করেছে, তা এগিয়ে নেওয়া এবং সৃজনশীল কিছু করার চেষ্টা করব।’
