তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশে মুদ্রাস্ফীতি ৭.৫ শতাংশ, গত মে পর্যন্ত ছিল ৭ শতাংশের নিচে, মে’র পরে একটু বেড়ে সাড়ে ৭ শতাংশ হয়েছে। যেখানে ইউরোপীয় ইউনিয়নে মুদ্রাস্ফীতি ৯.৬ শতাংশ, আমেরিকায় ৮.৫ শতাংশ, ইউকেতে ৯.৪ শতাংশ—সে তুলনায় আমাদের দেশে মুদ্রাস্ফীতি অনেক কম। তাই বলে আমরা যে এটাকে স্বস্তিদায়ক বলছি তা নয়, আমরা চেষ্টা করছি।
রবিবার (১৪ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ১৫ আগস্ট উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। সভার আয়োজন করে জাতীয় প্রেস ক্লাব।
মন্ত্রী বলেন, আজকে মূল্যস্ফীতি নিয়ে কাগজে বড় বড় প্রতিবেদন হয়। প্রতিবেদন হওয়া স্বাভাবিক, আমি দোষ দেখি না। কিন্তু সেটির সঙ্গে বিশ্বে কী হয়েছে সেটি যদি বলা হয়—তাহলে আমি মনে করি সেটি সঠিক সাংবাদিকতা। দেশের কথার সঙ্গে বিশ্ব পরিস্থিতির কথা না বললে জনগণ বিভ্রান্ত হবে।
তিনি বলেন, আমি গণমাধ্যমকে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি—দেশের কথা লেখার পাশাপাশি বিশ্ব পরিস্থিতি মানুষের সামনে তুলে ধরা প্রয়োজন। তাহলে সঠিক চিত্র মানুষ জানবেন।
বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমলে সমন্বয় করা হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সমগ্র পৃথিবীতে এটি নিয়ে অস্থিরতা। এবং আমরা বলেছি—বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমলে আমরাও সমন্বয় করবো।’
বঙ্গবন্ধু হত্যায় জিয়া এবং জিয়ার পরিবার সবচেয়ে লাভবান হয়েছে মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার পর খন্দকার মোশতাক সেনাপ্রধান করার জন্য জিয়াউর রহমানকে নিয়েছে। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে রূপান্তর করেছে জিয়াউর রহমান। হত্যাকারীদের বিদেশে পালানো ও বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরির ব্যবস্থা করেছিলেন জিয়াউর রহমান।’
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার দিন ভোরে জিয়াউর রহমান কেন সুটেড-বুটেড ছিলেন। তিনি কী তাহলে হত্যার ঘটনা শোনার জন্য অপেক্ষা করেছিলেন। যেখানে সেনাপতি হিসেবে বঙ্গবন্ধুকে রক্ষা করার কথা—তিনি সেটি না করে হত্যাকাণ্ড বিষয়ে বলেছিলেন—‘সো হোয়াট? ভাইস প্রেসিডেন্ট ইজ দিয়ার।’ দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন এই আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন।