জ্বালানি তেল, সার, খাদ্যসহ নিত্যপণ্যের দাম, পরিবহণ ভাড়া কমানোর দাবি এবং বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া বন্ধের দাবিতে অর্ধদিবস হরতাল পালন করছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।
বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে পুরানা পল্টন মোড়ে হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকেন জোটের নেতাকর্মীরা।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে আমরা হরতাল পালন করছি। কোথাও থেকে বাধা দেওয়ার খবর পাইনি।
রাজধানীতে মূলত পল্টন থেকে কাঁটাবন পর্যন্ত এলাকায় ছোট ছোট মিছিলের মধ্য দিয়ে বাম জোটের এ কর্মসূচি চলছে। নগরীর অন্যান্য এলাকায় হারতালকারীদের তেমন কোনো তৎপরতা চোখে পড়েনি।
বাম গণতান্ত্রিক জোট জানিয়েছে, অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস ও মরদেহ বহনকারী গাড়ি, গণমাধ্যমের গাড়ি, ওষুধের দোকান ও খাবার হোটেল হরতালের আওতার বাইরে থাকবে।
তবে রাজধানীর সব সড়কেই দেখা গেছে অফিসগামী যাত্রীদের স্বাভাবিক চাপ। গণপরিবহণের পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়িও চলছে অন্যদিনের মতো।
হরতালের কারণে পল্টন, পলাশী, শাহবাগ মোড়ে বাড়তি পুলিশ সদস্য দেখা গেছে, যা অন্য দিন থাকত না।
বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হরতালের সমর্থনে মিছিল নিয়ে শাহবাগ এলাকা দিয়ে ঘুরে আজিজ সুপার মার্কেটের দিকে চলে যায়।
রমনা বিভাগের পুলিশের সহকারী কমিশনার (পেট্রোল) বাহাউদ্দিন বলেন, স্বাভাবিকভাবে সব কিছু চলছে। গাড়ি, মানুষের চলাচল স্বাভাবিক আর পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ।
এর আগে হরতালের সমর্থনে গত কয়েক দিন ধরে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে লিফলেট বিতরণ, সভা-সমাবেশ এবং গণসংযোগ করেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা। এ সময় তারা বলেন, ‘দাম কমাও, জীবন বাঁচাও’—এ দাবিতে হরতাল সফল করার মধ্য দিয়ে দেশবাসী দুঃশাসনের অবসান ঘটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার লড়াইকে বেগবান করবেন। তারা বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া বন্ধেরও দাবি জানান। বাম গণতান্ত্রিক জোট ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের পক্ষ থেকে হরতালে সমর্থন এবং কর্মসূচি সফল করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।