প্রথম ম্যাচে সুবিধা করতে পারেননি। ৯ বলে ৫ রান করে পড়েছেন রানআউটের ফাঁদে। পরের খেলায় জেমকন খুলনার সাথে ১১৩.৬৩ স্ট্রাইকরেটে ২২ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ২৫ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন।
পরের ম্যাচে ফের ব্যর্থ। ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ৪ বলে ৬ করেই আউট। অথচ পেসার আবু জায়েদ রাহিকে স্কয়ার লেগ ও ডিপ মিড উইকেটের ওপর দিয়ে চোখ ধাঁধানো এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দারুণ কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। কিন্তু এরপরই ছন্দপতন। নিজের ভুলে ডাবলস নিতে গিয়ে রানআউট। আর তাতেই তিন ম্যাচে আশরাফুলের নামের পাশে যোগ হয়েছে মোটে ৩৬ রান।
আশরাফুলের এমন পারফরম্যান্সে কতটা সন্তুষ্ট মিনিস্টার রাজশাহীর ম্যানেজমেন্ট? হেড কোচ সারোয়ার ইমরান কি ভাবছেন? তার মূল্যায়ন কি? তিন ম্যাচের দুটিতে রান আউট। কেউ কেউ আশরাফুলের ‘ভাগ্য খারাপ’ বলছেন।
কিন্তু কোচ সারোয়ার ইমরান মোটেই তা মানতে নারাজ। তিনি বরং আশরাফুলের সিদ্ধান্তরই সমালোচনা করেছেন বেশি। তিন ম্যাচে দু’বার রানআউট হওয়ার জন্যও আশরাফুলেরই বেশি দায় দেখছেন রাজশাহী কোচ।
ইমরানের কথা, ‘আশরাফুলের ব্যাড লাক ঠিক বলব না। আশরাফুলের ডিসিশনগুলো, দুইটা রানআউট তিনটা ম্যাচের মধ্যে একটু দৃষ্টিকটুই। তারপরও আমি মনে করি আশরাফুল টেকনিক্যালি এবং ট্যাকটিকালি আগের অবস্থায় ফিরে আসছে। ওর একটা বড় স্কোরের অপেক্ষায় আছি আমরা। আর আমাদের মিডলঅর্ডার আশরাফুল-কেন্দ্রিক না। মোটামুটি টি-টোয়েন্টিতে আমাদের যে বাঁহাতি আছে, ফজলে রাব্বিসহ সবাই ভালো খেলছে। সাইফউদ্দিন ফিরলে আমাদের দলটা পুরোপুরি স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে যাবে।’
কোচ ইমরান মনে করেন, টেকনিক্যালি আশরাফুল আগের জায়গায় চলে আসলেও সেটা যথেষ্ট নয়। ইমরানের মতে, পারফর্ম করার জন্য শুধু টেকনিকই শেষ কথা নয়। সাথে মেন্টাল ও ট্যাকটিক্যাল বিষয়ও আছে। এ তিনের সমন্বয় হলেই কেবল জায়গামতো পারফর্ম করা সম্ভব হবে।
আশরাফুলকে নিয়ে ইমরানের মূল্যায়ন, ‘আমি আশাবাদী। গত আড়াই মাস আমরা একসাথে কাজ করছি, ম্যাচ খেলছি। সেই হিসেবে আশরাফুল তো টেকনিক্যালি আগের জায়গায় ফেরত আসছে এবং টেকটিক্যালি ও মেন্টালি কতদূর এগোতে পারে, এটার উপরই নির্ভর করবে ও আন্তর্জাতিক ম্যাচে খেলতে পারবে কিনা। মেন্টালি স্ট্রং হতে হবে। সেইসঙ্গে ফিজিক্যাল এবং টেকটিক্যাল পার্টটাতে যদি সে আরো স্ট্রং হতে পারে, তাহলে আন্তর্জাতিক আঙিনায় খেলতে পারবে।’
এদিকে দলের হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান আনিসুর ইমনকে নিয়েও ইতিবাচক চিন্তাভাবনা ইমরানের। তিনি বলেন, ‘আনিসুর ইমন আসলে লিগ খেলে যখন, মোটামুটি প্রথম ১০ ওভারে ৪০-৫০ রান করে আউট হয়ে যায়। ঐ হিসেবেই আনিসকে নেয়া হয়েছে। আনিসের রোলটা হইল পিঞ্চ হিটিংয়ের রোল। কিন্তু গত ম্যাচে সে কাজটা করতে পারেনি, সেজন্য আমরা একটু পিছিয়ে ছিলাম প্রথম ৬ ওভারে।’