প্রবাসীদের অবিশ্বাস্য চমকে রেমিট্যান্স ও রিজার্ভে রেকর্ড

অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে মহামারির চলমান সংকটের মধ্যেও প্রবাসী আয়ে ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত রয়েছে। জুলাইয়ের আরও তিন দিন বাকি থাকতেই জুনের চেয়েও বেশি প্রবাসী আয় দেশে আসার রেকর্ড হয়েছে।

জুলাইয়ে মাত্র ২৭ দিনেই ২ দশমিক ২৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। আশা করা যায় মাসের শেষে এটি ২ দশমিক ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে। বাংলাদেশের ইতিহাসে একক মাসে এর আগে কখনও এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি। গত জুনর পুরো সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ দশমিক ৮৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

এটি গত বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ৩৯ শতাংশ এবং মে মাসের চেয়ে প্রায় ২২ শতাংশ বেশি ছিল। এখন সেই রেকর্ড ভাঙল চলতি মাসের মাত্র ২৭ দিনেই। মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

বলা হয়েছে, প্রবাসী আয়ের এ ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকার জন্য সরকারের সময়োপযোগী ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে। পাশাপাশি গত ২৭ জুলাই পর্যন্ত দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৭ দশমিক ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের নতুন রেকর্ড ছুঁয়েছে।

বাংলাদেশের ইতিহাসে যা এ যাবতকালের মধ্যে সর্বোচ্চ। গত ৩০ জুন বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩৬ দশমিক ০১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ইতিহাসে যেটি ছিল সর্বোচ্চ। মাত্র এক মাসের ব্যবধানে তা পৌঁছেছে ৩৭ দশমিক ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রেকর্ডে।

এর আগে ২০১৯ সালের ৩০ জুন বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩৬ দশমিক ৭১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত এক বছরে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। রিজার্ভের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে রেমিট্যান্সের অন্তঃপ্রবাহ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে সরকারের এ অভূতপূর্ব সাফল্যে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এ অর্জন সেই সব প্রবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published.

scroll to top