রাজধানীর রামপুরায় একরামুন্নেসা স্কুলের শিক্ষার্থী মাইনুদ্দীন বাসচাপায় নিহত হওয়ার পর ওই এলাকায় গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় রামপুরা ও হাতিরঝিল থানায় অজ্ঞাতনামা ৭০০ জনের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা প্রত্যাহারেরও দাবি জানিয়েছে তারা।
বুধবার (১ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা। সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে বিজ্ঞপ্তিতে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আয়াতুল্লাহ, ন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয় হাফপাস আন্দোলনের সমন্বয়ক নাদিম খান নিলয়, সাত কলেজ আন্দোলন সমন্বয়ক ইসমাইল হোসেন সম্রাট, ন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী সাজ্জাদুর রহমান রাফি ও খিলগাঁও মডেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষার্থী সৈয়দ সামিউল ইসলাম রাফি এ দাবি জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমরা জানতে পেরেছি রামপুরায় বাসচাপায় শিক্ষার্থী হত্যার ঘটনায় বাস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগকে কেন্দ্র করে বুধবার (১ ডিসেম্বর) অজ্ঞাতনামা ৭০০ জনের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল ও রামপুরা থানায় দুটি মামলা করেছে পুলিশ। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। ওই রাতে গাড়িতে আগুন ও ভাঙচুরের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোনো সম্পর্ক নেই। ঘটনাস্থলে প্রশাসন উপস্থিত ছিল এবং ওই মুহূর্তেই গণমাধ্যমে ঘটনা লাইভের মাধ্যমে পরিষ্কার করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, এর আগেও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে আবার মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করা হয়েছিল। যার নতুন আরেকটি পুনরাবৃত্তি করে এই বর্তমান ন্যায্য দাবির অরাজনৈতিক আন্দোলনকে বানচাল করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আমরা চাই, সড়কে নৈরাজ্যের মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পিষে মেরে উস্কানি দিয়ে যারা দেশকে অস্থিতিশীল করছে, সেই সব পরিবহনশ্রমিক ড্রাইভারসহ আমলাদের আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের আওতায় আনা হোক। এটা কোনো তামাশার বিষয় না যে, সড়কে শিক্ষার্থীদের পিষে মারা হচ্ছে, আবার শিক্ষার্থীদেরই মামলা দেওয়া হচ্ছে। অবিলম্বে এই মামলা প্রত্যাহার করা হোক।