প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে (ডিপিই) চলতি মাসে মহাপরিচালকের (ডিজি) পদ শূন্য হচ্ছে। এর আগে ডিজি হিসেবে গত ৩১ ডিসেম্বর অবসরে যান এ এফ এম মনজুর কাদির। এরপর জানুয়ারিতে ডিজি হিসেবে যোগদান করেন মো. ফসিউল্লাহ। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর তিনি অবসরে যাবেন। এখন নতুন ডিজি কে হবেন তা নিয়ে তুঙ্গে রয়েছে আলোচনা।
দেশে ৬৫ হাজার ৬২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রয়েছেন প্রায় চার লাখ। ডিপিইর অধীনে জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও রয়েছে অফিস ও কর্মকর্তা। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বেশির ভাগ মহাপরিচালক স্বল্প সময়ের জন্য আসায় তিনি যেসব উদ্যোগ নেন, তা বাস্তবায়ন করে যেতে পারেন না। আবার নতুন ডিজি এলে আগের ডিজির অনেক কাজই বন্ধ হয়ে যায়। এতে ব্যাহত হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়ন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ডিপিইর ডিজি হিসেবে ৫-৬ জন অতিরিক্ত সচিবের নাম শোনা যাচ্ছে। এছাড়া বর্তমান ডিজি মো. ফসিউল্লাহর মেয়াদ বাড়ানোও হতে পারে। তিনি ইতোমধ্যে গ্রেড-১ পেয়েছেন। ডিজি পদের জন্য আলোচনায় আছেন প্রাথমিক শিক্ষা উপবৃত্তি প্রকল্পের (ফেজ-৩) পরিচালক মো. ইউসুফ আলী। তিনি ২০২৩ সালে অবসরে যাবেন বলে দীর্ঘদিন কাজের সুযোগ রয়েছে। এছাড়া ডিপিইর অতিরিক্ত মহাপরিচালক সোহেল আহমদের নাম আলোচনায় রয়েছে। কিন্তু তার চাকরি খুব বেশি দিন নেই। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক তপন কুমার ঘোষ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) রতন চন্দ্র পণ্ডিতের নামও রয়েছে আলোচনায়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক কে হবেন তা প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। তিনি যাকে যোগ্য মনে করবেন তাকেই মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেবেন। তবে অতীতে দেখা গেছে, যারা প্রাথমিক শিক্ষা নিয়ে কাজ করেছেন, তাদের মধ্য থেকে মহাপরিচালক নিয়োগ দেয়া হয়। যাতে তারা সহজেই কাজগুলো বুঝতে পারেন।’