আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীরা আর কখনও মনোনয়ন পাবেন না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ইতিমধ্যে যারা বিদ্রোহ করেছে এবং আবার নির্বাচিত বা পরাজিত হয়েছে, তাদের আর পরবর্তীতে দল থেকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না বলে সোজা জানিয়ে দিয়েছেন ।
বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় তিনি এই কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের নিজ সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন।
দলীয় নেতাকর্মীদের সাবধান করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দল করলে দলের শৃঙ্খলা মানতে হবে। উন্নয়ন-অর্জনে কোনও লাভ হবে না, যদি দলে শৃঙ্খলা ফিরে না আসে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে আচরণ খারাপ করে উন্নয়নকে ম্লান না করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
দলে মনোনয়ন নিয়ে বাণিজ্য করা থেকে বিরত থাকতে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দিনের পর দিন ক্ষমতার অপব্যবহার করার জন্য দলের পদ পদবি কাউকে ইজারা দেওয়া হয়নি। যে কোনও নেতিবাচক ঘটনায় দলের ও সরকারের ইতিবাচক অর্জনগুলোকে যেনও ম্লান না হয় সেদিকে সতর্ক থাকবেন।’
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের হুঁশিয়ার করে দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মীমাংসিত বিষয় নিয়ে আপস করার কোনও সুযোগ নেই। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন বা সমাবেশ করলে সরকার কোনও বাধা দেবে না। তবে আন্দোলনের নামে অশান্তি সৃষ্টি করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।’
আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন অন্যের ওপর ভর করে ক্ষমতায় যেতে অন্ধকারের চোরাগলি খুঁজছে বলে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ধর্মীয় সহনশীলতা বিনষ্টের যে কোনও অপচেষ্টা কঠোরভাবে দমন করা হবে।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘শিগগিরই বেগমগঞ্জ থেকে লক্ষ্মীপুর পর্যন্ত চার লেনের সড়ক উন্নীত করা হবে। কোনও অবস্থাতেই লক্ষ্মীপুর পিছিয়ে থাকবে না, লক্ষ্মীপুরের লক্ষ্মী ফিরিয়ে আনা হবে।’
লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ গোলাম ফারুক পিংকুর সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, সাবেক মন্ত্রী শাহাজান কামাল, সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খান, জেলা সাধারণ সম্পাদক নূর উদ্দিন চৌধুরী নয়নসহ লক্ষ্মীপুর জেলার বিভিন্ন নেতারা।