রাজধানীর রামপুরায় বাসের চাপায় শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনা বিএনপি-জামায়াতের অতীত সহিংস অপকর্মের পুনরাবৃত্তি কি না তা খতিয়ে দেখতে জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন রেখেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ায় তিনি গভীর শোকাহত ও ব্যথিত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
বুধবার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপ-কমিটি আয়োজিত ‘৫জি: দি ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি’ শীর্ষক সেমিনারে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্যমতে, ঘটনাটি ঘটে রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে। এর ১২ মিনিট পর ১০টা ৫৭ মিনিটে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ নামে ফেসবুক পেজ থেকে ঘটনাস্থল থেকে লাইভ করা হয় জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে ১৭টি বাসে (৮টি) আগুন দেওয়া হয় এবং অসংখ্য গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবারও প্রশ্ন রেখে বলেন, এটা কী নিছক দুর্ঘটনা নাকি পূর্ব পরিকল্পিত?
ওবায়দুল কাদের বলেন, রাত ১১টায় জামায়াত পরিচালিত ‘টেলিগ্রাম’ চ্যানেল খবরটি প্রকাশিত হয় এবং দুর্ঘটনার স্থান থেকেই সব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবরটি ছড়িয়ে পড়ে।
তিনি বলেন, খবরটি ছড়িয়ে পড়ার ১০ মিনিটের মধ্যেই প্রায় ১৫টি বাসে আগুন দেওয়াও শেষ হয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে বিষয়টি আসলেই দুর্ঘটনা কি না।
ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রেখে আরও জানতে চান, ঘটনার ১২ মিনিটেই নিরাপদ সড়ক চাই পেজ লাইভে গেলো কীভাবে? নাকি তারা আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল?
‘বাশেরকেল্লা ১৫ মিনিটের মধ্যেই সব খবর পেয়ে গেল কীভাবে? আর বাকি ১০ মিনিটেই ১০টি গাড়িতে আগুন কীভাবে দেওয়া হলো?’ প্রশ্ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের।
ওবায়দুল কাদের জানতে চান, এতো জনবল রাত ১১টার পর ঘটনাস্থলে এলো কীভাবে? তাহলে তারা কী আগেই প্রস্তুত ছিল?
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, সেনাবাহিনী, পুলিশ বা ফায়ার ব্রিগেড এতো তাড়াতাড়ি পৌঁছাতে পারে না, যত দ্রুত গাড়ি পোড়ানো হয়েছে। এতো রাতে অল্প বয়সী শিক্ষার্থীরা কী এত দ্রুত পৌঁছে গেছে?
তিনি বলেন, এমনিতেই সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে আন্দোলন চলছে, যারাই দুর্ঘটনাকবলিত হচ্ছেন তারা সবাই শিক্ষার্থী। গাড়িতে কি ছাত্র ছাড়া অন্য আর যাত্রী থাকে না? বিষয়টি মোটেই দুর্ঘটনা নয় বলেও দাবি করেন তিনি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনতে সরকার বদ্ধপরিকর।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০২৩ সালের মধ্যেই পর্যায়ক্রমে এই ফাইভ-জি সেবা দেশের অন্যান্য বিভাগীয় শহর, শিল্পপ্রতিষ্ঠান নির্ভর এলাকাসমূহে বিস্তারের পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি বলেন, আগামী ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এ পরীক্ষামূলক কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।