মাশরাফিকে নিতে দুই দলের লড়াই

প্রথমে করোনা, তারপর হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি কাটিয়ে মাঠে ফেরার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। দু’দিন আগে শেরেবাংলা একাডেমির নেটে ৪ ওভার বোলিংও করেছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। পাশাপাশি তাকে নিয়ে নানা গুঞ্জন। প্রথমে শোনা যাচ্ছিল, ম্যাচ ফিটনেস ফিরে পেলে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে ফরচুন বরিশালের হয়ে খেলতে পারেন নড়াইল এক্সপ্রেস। ওদিকে মিনিস্টার রাজশাহীও নাকি মাশরাফিকে পেতে আগ্রহী।

আজ (বৃহস্পতিবার) জানা গেল নতুন খবর, জেমকন খুলনা মাশরাফিকে দলে নিতে আনুষ্ঠানিকভাবে বোর্ডে চিঠি দিয়েছে। খুলনা ম্যানেজার নাফিস ইকবাল আনুষ্ঠানিকভাবে তা জানিয়েও দিয়েছেন।

আজ গণমাধ্যমের সাথে আলাপে নাফিস ইকবাল বলেন, ‘মাশরাফি এমন একটা নাম, এমন একটা খেলোয়াড়, যাকে সবাই নিতে চাইবে। আমরাও আগ্রহ দেখিয়েছি।’

খুলনার ম্যানেজার উল্লেখ করেন, মাশরাফি খেলার অবস্থায় আছেন কি না, তার খেলার ব্যাপারে বোর্ডের ভাষ্য কি, এসব জেনেই তাকে দলে নেয়া না নেয়ার সিদ্ধান্ত হবে। তিনি বলেন, ‘এখানে ব্যাপার হলো যে ওর এভেইভিলিটি। বোর্ড থেকেও আলাদা ফিডব্যাক নিতে হবে যে, ও কি অবস্থায় আছে, ওর ফিটনেস কি অবস্থায় আছে, তাও জানতে হবে।’

প্রসঙ্গত, প্রথমে বলা হয়েছিল যারা প্লেয়ার্স ড্রাফটে অংশ নেবেন না, তারা আর পরে খেলতে পারবেন না। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার ক্ষেত্রে সে ঘোষণা আর অটুট থাকেনি। মাশরাফি প্লেয়ার্স ড্রাফটে ছিলেন না, তারপরও বোর্ড থেকে জানানো হয়েছে তাকে নেয়া যাবে।

এদিকে শুধু জেমকন খুলনা নয়, মাশরাফিকে পেতে মরিয়া ফরচুন বরিশালও। ফরচুন বরিশালের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের দাবি, তারা সবার আগে মাশরাফির প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছেন এবং ১ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে তা বোর্ডকে জানিয়েছেন।

এদিকে জেমকন খুলনার ম্যানেজার নাফিস ইকবালের দাবি, ‘যেহেতু ড্রাফটে না থাকার পরও মাশরাফিকে নেয়ার কথা বোর্ড থেকেই জানানো হয়েছে, তাই তাকে নেওয়ার অধিকার পাঁচ দলেরই রয়েছে। এখন যার যে সময়ে টিম কম্বিনেশনে বসবে, ওই দল ওভাবে ওকে নিতেই পারে। এটা কোনো জায়গায় আটকে নেই। নিয়ম মেনে আমরা একটা মেইল করেছি যে, মাশরাফিকে দলে নিতে আগ্রহী। আমি জানি না বাকি কোনো দল আগ্রহ দেখিয়েছে কি না। এরপর বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে।’

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published.

scroll to top