চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের বোলিং আক্রমণের অন্যতম ভরসার নাম ডানহাতি অফস্পিনার শেখ মেহেদি হাসান। প্রথম পর্বের তিন ম্যাচে পাঁচ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। এই তিন ম্যাচে ১২ ওভারে খরচ করেছেন মাত্র ৫৩ রান।
শুধু বোলিং নয়, ব্যাট হাতেও তাকে নিয়ে ভিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে আট নম্বরে, ওমানের বিপক্ষে তিন নম্বরে, আবার শেষ ম্যাচে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে মেহেদিকে পাঠানো হয় নয় নম্বরে।
বল হাতে দলকে নির্ভরতা এনে দেয়া মেহেদিকে ব্যাটিংয়ে এভাবে ভিন্ন ভিন্ন পজিশনে ব্যবহারের কারণ জানিয়েছেন টাইগারদের হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো। তার মতে, দলের একের ভেতর তিন ক্রিকেটার হলেন মেহেদি।
যে কারণে বোলিংয়ে দারুণ চারটি ওভার ছাড়াও ব্যাটিংয়ে যখন যেভাবে প্রয়োজন সেভাবেই ব্যবহার করা যায় ২৬ বছর বয়সী এ অফস্পিনিং অলরাউন্ডারকে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সুপার টুয়েলভের ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে মেহেদির খোলামেলা প্রশংসাই করেছেন ডোমিঙ্গো।
তিনি বলেছেন, ‘আমি মেহেদির একজন বড় ভক্ত। আমার মতে, তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা হলো সহজাত প্রবৃত্তি। দলের পক্ষ থেকে যে দায়িত্ব দেয়া হয়, তা পূরণে সবসময় প্রস্তুত সে। কখনও ওপরে আবার কখনও নিচে ব্যাটিং করা সহজ নয়। কিন্তু সে কখনও অভিযোগ করে না।’
ডোমিঙ্গো আরও বলেন, ‘সবসময় দলের চাহিদা পূরণে মনোযোগী মেহেদি। বল হাতে সে বহুমুখী প্রতিভাধর। শুরুতে, মাঝের ওভারে কিংবা ডেথে- যেকোনো সময় বোলিং করতে পারে। আমাদের জন্য সে একের ভেতর তিন ক্রিকেটার।’
চলতি বিশ্বকাপে মেহেদির ব্যাপারে নিজের সন্তুষ্টির কথা জানিয়ে টাইগার কোচ বলেছেন, ‘মেহেদির প্রস্তুতির ব্যাপারে সবচেয়ে বড় বিষয়টি হলো, সে যেকোনো দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত। এটাকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখে এবং নিজের শতভাগ উজাড় করে দেয়। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত মেহেদির পারফরম্যানসে আমি খুশি।’