আফিফ এবং মেহেদী মিরাজের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা

৪৫ রানে ৬ উইকেট নাই। বাংলাদেশ দাঁড়িয়েছিল চরম এক লজ্জার সামনে। কত কম রানে টাইগাররা অলআউট হয়ে যাবে, সে চিন্তাই ভর করেছিল ভক্তদের মনে। কিন্তু তাদেরকে খানিকটা স্বস্তি এনে দিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ এবং আফিফ হোসেন ধ্রুব।

এই দুই তরুণ ব্যাটারের দারুণ এক জুটিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ১৮ ওভার খেলে ৮২ রানের জুটি গড়েছেন এই দুই ব্যাটার। বাংলাদেশের রান এই মুহূর্তে ৩০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩০। ৪৯ রান নিয়ে ব্যাট করছেন আফিফ হোসেন ধ্রুব এবং ৩৮ রান নিয়ে ব্যাট করছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

এর আগে জয়ের জন্য মাত্র ২১৬ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে যেখানে ব্যাটারদের ধীর-স্থির থাকার কথা, সেখানে তাদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে তাড়াহুড়ো, অস্থিরতা। সবচেয়ে বড় কথা আফগার পেসার ফজলুল্লাহ ফারুকির বল যেন বুঝতেই পারছে না বাংলাদেশের ব্যাটার।

যার ফলশ্রুতিতে ২৮ রানেই হারিয়ে বসেছে ৫ উইকেট। জয় তো দুরে থাক, যে মহা বিপর্যয়ে পড়েছে টাইগাররা, তাতে কতদুর যেতে পারে এখন সেটাই চিন্তার বিষয়। টপ অর্ডারের ৫ ব্যাটার যারপরনাই হতাশার জন্ম দিয়ে ফিরে গেলেন সাজঘরে।

দুই ওপেনারের ওপরই ছিল সবচেয়ে বেশি ভরসা। তারা ভালো একটা সূচনা এনে দিতে পারলে বাংলাদেশও হাঁটতে পারতো জয়ের পথে। কিন্তু ১৩ রানেই ভেঙে যায় ওপেনিং জুটি। ৮ বল খেলে ১ রান করে ফজলুল হক ফারুকির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন রহমানুল্লাহ গুরবাজের হাতে।

সেই ফারুকির বলেই এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান তামিম ইকবালও। ৮ বলে ৮ রান করেন তিনি। মুশফিকুর রহিম আউট হন ৩ রান করে। অভিষেক হওয়া ইয়াসির আলী রাব্বি রানের খাতাই খুলতে পারেননি। ৫ বল মোকাবেলা করেন ডাক মারলেন তিনি।

১৫ বলে ১০ রান করা সাকিব আল হাসানের কাছে যখন সবার প্রত্যাশাটা ছিল সবচেয়ে বেশি, যিনি এই বিপর্যয়ে রয়ে-সয়ে খেলবেন, সেখানে তিনি কি না খেললেন ক্রস ব্যাটে। যার ফল পেয়ে গেলেন খুব দ্রুত। মুজিব-উর রহমানকে ক্রস ব্যাটে খেলতে গিয়ে ব্যাটের নিচের কানায় বল লাগিয়ে ভাঙলেন স্ট্যাম্প। ২৮ রানের মাথায় ফিরলেন সাকিবও, শেষ হলো ৫ উইকেট।

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এসব সময়ে বেশ ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়ে থাকেন। কিন্তু তিনি রশিদ খানের ঘূর্ণির সামনে আর টিকতে পারলেন না। ক্যাচ দিলেন প্রথম স্লিপে দাঁড়ানো গুলবাদিন নাইবের হাতে।

আফগান মিডিয়াম পেসার ফজলুল হক ফারুকি একাই কাঁপন ধরান। ৫ ওভার বল করে ১ মেডেন নিয়ে ১৯ রান নিয়ে তিনি একাই নেন ৪ উইকেট। ১টি করে উইকেট নিলেন মুজিব-উর রহমান এবং রশিদ খান।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তান অলআউট হয়েছে ২১৫ রানে। নজিবুল্লাহ জাদরান করেন ৬৭ রান। মোস্তাফিজ ৩টি, তাসকিন, সাকিব এবং শরিফুল ইসলাম নেন ২টি করে উইকেট। বাকি উইকেটটি নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published.

scroll to top