জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল (কুমিল্লা ব্যুরো): জীবন মৃত্যুর সন্ধীক্ষণে থাকা মুমুর্ষু করোনা রোগীদের জন্যে প্লাজমা দিয়ে রেকর্ড গড়লো কুমিল্লা জেলা পুলিশ।
“করোনায় জয়ী পুলিশের প্লাজমায় বাঁচুক অন্যের জীবন,
জাগ্রত মানবতায় দৃঢ় হউক পুলিশ জনতার বন্ধন।”
এ শ্লোগানকে সামনে রেখে শনিবার দুপুরে দ্বিতীয় বারের মতো প্লাজমা দিতে ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে গেছেন কুমিল্লা জেলা পুলিশের ৫৬ সদস্যের একটি দল। এ উপলক্ষে আায়োজিত এক সভায় বক্তব্য প্রদান কালে জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ নূরুল ইসলাম তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, করোনা যুদ্ধে বিগত চার মাসে জেলা পুলিশের সদস্যরা যে নজীর স্থাপন করেছে, তাতে পুলিশ বাহিনীর মুখ উজ্জ্বল হয়েছে।
এসময় পুলিশ সুপার জানান, করোনা কালে দ্বায়িত্ব পালন করতে গিয়ে জেলা পুলিশের যেসব সদস্য আক্রান্ত হয়ে পুনরায় সুস্থ্ হয়েছেন, এই ৫৬ জন করোনা জয়ীর দেহে এন্টিবডি পজেটিভ পাওয়া গেছে। এর আগেও গেলো ৯ জুলাই কুমিল্লা জেলা পুলিশের ২৭ সদস্যের আরেকটি দল রাজারবাগ পুলিশ সেন্ট্রাল হাসপাতালে পুলিশ ব্লাড ব্যাংকে প্লাজমা দিয়ে আসেন। এ নিয়ে দুই বারে কুমিল্লা জেলা পুলিশের সর্বমোট ৮৩ জন সদস্য প্লাজমা দিলেন। যা পুলিশ বাহিনীর জন্যে একটি রেকর্ড। শনিবার সকালে এসব পুলিশ সদস্য প্লাজমা ডোনেট করতে কুমিল্লা পুলিশ লাইন থেকে ঢাকার রাজার বাগ সেন্ট্রাল পুলিশ হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়ার আগে তাদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান পুলিশ সুপার।
এ উপলক্ষে কুমিল্লা পুলিশ লাইনস-এ অনুষ্ঠিত সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজিম-উল-আহসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভীর সালেহীন ইমনসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। এসময়ে করোনা জয়ী এবং করোনায় আক্রান্ত পুলিশ সদস্যসহ সকল করোনা আক্রান্তদের জন্য দোয়া করা হয়।
পুলিশ সুপার আরোও বলেন, সর্বোচ্চ সংখ্যক প্লাজমা ডোনার হচ্ছে কুমিল্লা জেলা পুলিশ। তিনি বলেন, করোনা যুদ্ধের মাধ্যমে পুলিশ যেভাবে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করতে পেরেছে, যেভাবে মানুষের শ্রদ্ধা-ভালোবাসার যায়গা করে নিতে পেরেছে, ঠিক সেভাবে যেন মানুষের আস্থা ধরে রাখা যায় সে লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।
এর আগে গত ০৯ জুলাই কুমিল্লা থেকে ২৭ জন করোনা জয়ী পুলিশ সদস্য ঢাকায় গিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের ব্লাড ব্যাংকে প্লাজমা ডোনেট করেন।