অগ্রণী ব্যাংক কর্মকর্তাকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে রাস্তায় ব্যাংকাররা

সিলেট নগরের বন্দরবাজারে অগ্রণী ব্যাংক কর্মকর্তা মওদুদ আহমদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার দুদিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ব্যাংকাররা।

মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এই মানববন্ধনে বিভিন্ন ব্যাংকের প্রায় পাঁচ শতাধিক কর্মকর্তা অংশ নেন।

সিলেটের সর্বস্তরের ব্যাংক কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ, ব্যাংক কর্মচারী ফেডারেশন, অগ্রণী ব্যাংক কর্মচারী সংসদ, সোনালী ব্যাংক, তরুণ পেশাজীবী সমিতি ও অগ্রণী ব্যাংক অফিসার্স সমিতি সিলেটসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন এই মানববন্ধনে একাত্মতা পোষণ করে।

সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আবু তাহের মো. শোয়েব, নাট্য সংগঠক শামসুল বাসিত শেরো, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম মানববন্ধনে একাত্মতা পোষণ করে ব্যাংক কর্মকর্তা হত্যার বিচার দাবি করেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মওদুদ হত্যার দুই দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। নগরের সবচেয়ে ব্যস্ততম এলাকায় প্রকাশ্যে একজন কর্মকর্তা পিটিয়ে হত্যা এবং হত্যাকারীদের গ্রেফতার করতে না পারা পুলিশের উদাসীনতা প্রকাশ পায়। ব্যাংকারদের নিরাপত্তা দাবি করেন তারা।

এর আগে সোমবারও একই দাবিতে বিক্ষোভ করেন ব্যাংকাররা। আসামি গ্রেফতার ও হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে পুলিশ কমিশনার, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেন তারা।
মওদুদ আহমেদ সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার অগ্রণী ব্যাংক, হরিপুর গ্যাস ফিল্ড শাখার অফিসার (ক্যাশ) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। নগরীর রাজারগলির একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। তার মূল বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলার টেংগুরিপাড়া গ্রামে। তার বাবার নাম মো. আব্দুল ওয়াহেদ। সোমবার জানাজা শেষে তার লাশ দাফন হয়েছে।

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আবু ফরহাদ জানান, এ ঘটনায় জড়িতদের কাউকে গ্রেফতার করা না গেলেও তাদের অনেক তথ্য এখন পুলিশের হাতে। আসামিরা যে কোনো মুহূর্তে ধরা পড়বেন। অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত শনিবার সন্ধ্যায় জৈন্তাপুরের হরিপুর থেকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় নগরীর বন্দরবাজারে আসেন ব্যাংক কর্মকর্তা মওদুদ আহমেদ (৩৫)। একপর্যায়ে চালক নোমান হাছনুরের (২৮) সঙ্গে ভাড়া নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয় মওদুদের। তখন হাছনুরসহ সিএনজি অটোরিকশা চালকরা মওদুদ আহমেদকে বেধড়ক মারধর করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হলে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর পর হত্যাকাণ্ডকে ‘সড়ক দুর্ঘটনা’ বলে প্রচার চালান পরিবহন শ্রমিকরা।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published.

scroll to top