প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারের জন্য হাসপাতাল করার প্রস্তাব করেছেন শিক্ষকরা। মুজিববর্ষে শিক্ষক সমিতির নিজস্ব জায়গায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে হাসপাতাল স্থাপনের এই প্রস্তাবকে ইতিবাচক ভাবে দেখছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
ডিপিই থেকে জানা গেছে, প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারের ৪ লাখ ২০ হাজার শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। তাদের ও পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ঢাকার মধ্যে বা তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় একটি হাসপাতাল নির্মাণের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
শিক্ষকরা জানান, বিভিন্ন সংস্থার হাসপাতাল রয়েছে, ব্যাংক রয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্যও এগুলো প্রয়োজন। তাই শিক্ষকদের পক্ষ থেকে এসব প্রস্তাব করা হয়েছে। শিক্ষক পরিবারের কল্যাণের জন্য সরকারের কাছে বিভিন্ন প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। মন্ত্রণালয় আমাদের সব দাবি ইতিবাচক হিসেবে দেখছে।
ডিপিই’র সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুর রেজ্জাক সিদ্দিকী বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারের সদস্যদের জন্য একটি হাসপাতাল তৈরির পরিকল্পনা শুরু করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে এ সংক্রান্ত একটি সভা করে ডিপিই’র মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহকে প্রধান করে ৩২ সদস্যদের একটি মূল কমিটি ও চারটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাসপাতাল স্থাপনে অর্থ সংস্থান, জমি নির্বাচন, হাসপাতালের গঠন ও সেবা সংক্রান্ত বিষয়ে উপকমিটির সদস্যদের মূল কমিটিকে প্রস্তাব দিতে বলা হয়েছে। সেসব প্রস্তাব মূল কমিটির মাধ্যমে অনুমোদন করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হবে। সেখান থেকে অনুমোদন দেয়া হলে রাজধানীর কোনো স্থানে অথবা তার আশেপাশে একটি হাসপাতাল স্থাপনের কাজ শুরু করা হবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, ‘শিক্ষকরা হাসপাতাল ও ব্যাংক করার প্রস্তাব দিয়েছে, মিরপুরে তাদের জমিতে হাসপাতাল করার জন্য বলেছে। আমি মহাপরিচালককে জমিটা দেখতে বলেছি। তবে এখনও বিষয়টি প্রস্তাবের মধ্যেই রয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ বলেন, ‘প্রাথমিকের বিশাল একটি পরিবার রয়েছে। তাদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে একটি হাসপাতাল হলে সকলে উপকৃত হবে। সেই চিন্তাভাবনা থেকে কর্মকর্তারা একটি প্রস্তাবনা তৈরি করেছেন। এ সংক্রান্ত একাধিক কমিটি গঠন করে তাদের হাসাপাতাল স্থাপন সংক্রান্ত প্রস্তাবনা দিতে বলা হয়েছে। প্রস্তাবনা পেলে পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করা হবে।’