নভেম্বর থেকে বিদ্যালয় চালু করা গেলে সেক্ষেত্রে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য সংক্ষিপ্ত পাঠ পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (ন্যাপ)। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের নিজস্ব ওয়েবসাইটে তা প্রকাশ করা হচ্ছে।
পরিমার্জিত বার্ষিক পাঠ পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষার উপযোগী সকল শিক্ষার্থীর জন্য মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা বর্তমান শিক্ষা-বান্ধব সরকারের অন্যতম অঙ্গীকার । এ অঙ্গীকার বাস্তবায়নের জন্য সরকার আইন ও বিধি প্রণয়নসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
ফলে শতভাগ শিশুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি, শ্রেণিকক্ষে জেন্ডার সমতা প্রতিষ্ঠা, একীভূত শিক্ষা এবং শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষাচক্র শেষ করা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে বাংলাদেশ উন্নয়নক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে।
এতে বলা হয়, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে চীন হতে ছড়িয়ে পড়া করোনা মহামারি সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও সংকটের সৃষ্টি করে। স্বাভাবিকভাবেই শিক্ষাক্ষেত্রেও এই মহামারির নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। সংক্রমণ রোধ করে মানুষের জীবন রক্ষার জন্য সরকার ১৭ মার্চ থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বাংলাদেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে।
ছুটির মেয়াদ বাড়িয়ে পরবর্তীকালে গত ৩০ আগস্ট পর্যন্ত করা হয়। এই অপ্রত্যাশিত দীর্ঘ ছুটি সরকারের লক্ষ্য অর্জনকে হুমকিতে ফেলেছে। করোনা সংকটে প্রাথমিক স্তরের প্রায় দেড় কোটি শিক্ষার্থীর শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
১৭ মার্চ থেকে ছুটি থাকায় শিক্ষার্থীদের শিখন লক্ষ্য অর্জনে বড় রকমের ঘাটতি হয়েছে । এই ক্ষতি পূরণ করে শিক্ষার্থীদের শিখন কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
মহামারি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করছে। এরই অংশ হিসেবে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি পরিমার্জিত পাঠ পরিকল্পনা প্রস্তুত করেছে।
শিক্ষার্থীরা যেন শ্রেণিভিত্তিক আবশ্যকীয় প্রান্তিক যোগ্যতা অর্জন করতে পারে এবং পরবর্তী শ্রেণিতে অর্জনযোগ্য যোগ্যতার সঙ্গে সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ পাঠ্যবিষয়গুলো আয়ত্ত করতে পারে তার ওপর জোর দিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি প্রস্তুত করা হয়েছে।
পাঠ পরিকল্পনাটি দেখতে ক্লিক করুন