সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ৪২ নম্বর হাট বয়ড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ববিতা খাতুনের বিরুদ্ধে স্কুলের বই, চেয়ার, টেবিল, ড্রামসেট, খাতাসহ সরকারি আসবাবপত্র বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (৭ মার্চ) বিষয়টি জানাজানি হলে ওই শিক্ষকের অপসারণ দাবি করেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় ব্যক্তি ও স্কুল সূত্র জানায়, রোববার (৬ মার্চ) স্কুল ছুটির পর প্রধান শিক্ষক ববিতা খাতুুন সেখানে একা ছিলেন। পরে প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণির প্রায় ২০০ কেজি বই, চেয়ার, টেবিলসহ আসবাবপত্র বিক্রি করে অটোরিকশা ও ভ্যানযোগে পাঠিয়ে দেন। এসময় এলাকাবাসী বাধা দিলে শিক্ষক ববিতা খাতুন তর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং কারো কথা শোনেননি।
শামীম, নুরুল ইসলাম ও আসমা খাতুনসহ কয়েকজন অভিভাবক অভিযোগ করে প্রথম খবরকে বলেন, প্রধান শিক্ষক ববিতা খাতুন নিয়মিত স্কুলে আসেন না। ক্লাসও ঠিকমতো করান না। তাকে কিছু বলাও যায় না। বললে বলেন, ‘আমার স্বামী এমপি তানভির সাকিলের বন্ধু। বাড়াবাড়ি করলে পুলিশে ধরিয়ে দেবো’। তারা ওই শিক্ষকের অপসারণ দাবি করেন।
হাট বয়ড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ববিতা খাতুনের কাছে বই ও স্কুলের আসবাবপত্র বিক্রি কথা জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যান। পরে এ বিষয়ে তিনি আর কথা বলতে রাজি হননি।
হাট বয়ড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ওয়াজেদ আলী কপত প্রথম খবরকে বলেন, ‘এলাকাবাসী আমাকে বিষয়টি জানিয়েছে। বইসহ আসবাবপত্র বিক্রির সময় প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে স্থানীয়দের কথা-কাটাকাটি হয়েছে বলেও শুনেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্কুলের মালামাল বিক্রির বিষয়ে কোনো রেজুলেশন করা হয়নি। তিনি (প্রধান শিক্ষক ববিতা খাতুন) নিজের ইচ্ছামতো স্কুলের মালামাল বিক্রি করেছেন। এর চেয়ে বেশি কিছু জানি না।’
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আপেল মাহমুদ প্রথম খবরকে বলেন, ‘বিদ্যালয়ের মালামাল বিক্রি করতে হলে অবশ্যই শিক্ষা অফিসকে জানাতে হবে। নিজের ইচ্ছামতো বিক্রির সুযোগ নেই। বিষয়টি তদন্ত করে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’