শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানোর ইঙ্গিত দিলেন শিক্ষামন্ত্রী

করোনা সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকলে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করে ঈদের পর পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে। করোনা বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে বৈঠকের পরে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে এবং আগামীকালের মধ্যে জানিয়ে দেয়া হবে। বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে গণহত্যা দিবস উপলক্ষে, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের আয়োজনে আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তিনি বলেন, আগামী ৩০ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি থাকলেও বিষয়টি রিভিউ করা হতে পারে। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি বেড়ে যাওয়ায় প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে নতুন করে ভাবা হচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মচারী ও অভিভাবকদের কাউকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে চাই না। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে নতুনভাবে চিন্তা করা হবে বলে জানান তিনি। এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছিলেন, ৩০ মার্চ স্কুল-কলেজ খুলে দেয়া হবে। তখন তিনি বলেছিলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হলেও প্রাক-প্রাথমিক খুলছে না। এ বিষয়ে পরে জানিয়ে দেয়া হবে। পঞ্চম, দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন ক্লাস নেয়া হবে। অন্যান্য ক্লাসের শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে একদিন ক্লাস নেয়া হবে। পর্যায়ক্রমে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে। এরপরই প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর ও মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতর স্কুল খুলতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রস্তুতি নিতে নির্দেশনা দেয়। ফলে দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা স্কুল-কলেজ সংস্কারের উদ্যোগ নেয় কর্তৃপক্ষ। স্কুল-কলেজ খোলার আগে শিক্ষকদের টিকাগ্রহণ বাধ্যতামূলক করে দুই মন্ত্রণালয়। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী প্রায় ৮৫ শতাংশ শিক্ষক করোনা টিকার আওতায় এসেছে বলেও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়। কিন্তু সম্প্রতি করোনা সংক্রমণের হার ও মৃত্যু বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে জনমনে আবারও প্রশ্ন উঠে। এরই মধ্যে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, স্কুল-কলেজ খোলা হলে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। এর মাঝে গত ২২ মার্চ ঢাকা শিক্ষাবোর্ড ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণ কার্যক্রমের ঘোষণা দিয়েছে। এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার্থীদের কোনো ধরনের নির্বাচনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না বলেও শিক্ষাবোর্ড থেকে জানিয়ে দেয়া হয়।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top