তিন দফা দাবিতে সারাদেশে মানববন্ধন পালন করেছেন জাতীয়করণ হওয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এ দাবিতে মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) দেশের সব জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে।
জাতীয়করণ হওয়া শিক্ষকদের জাতীয় মহাজোটের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, জাতীয়করণ হওয়া ২৬ হাজারের বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ২০১৩ সাল থেকে উচ্চতর স্কেল ও টাইম স্কেলে বেতন পেয়ে আসছেন। পাঁচ বছর ধরে তাদের এ সুবিধা দেয়া হলেও ২০১৭ সালে তা বন্ধ করা হয়েছে।
ফলে ১ লাখ ৪ হাজার ৭৭২ জন শিক্ষকের মধ্যে প্রায় ২০ হাজার সিনিয়র সহকারী শিক্ষককে (৫০ শতাংশ কার্যকর চাকরিকালের হিসাব না ধরে) প্রধান শিক্ষক পদে চলতি দায়িত্ব থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
বর্তমানে সিনিয়র শিক্ষকের উত্তোলিত টাইম স্কেল ফেরত দেয়ার জন্য আজ অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে বলে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, শিক্ষকদের সুবিধা কমিয়ে দেয়ায় তাদের মাঝে চরম হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
যার পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সারাদেশের সব জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা। তিন দফা দাবিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারলিপি দেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা।
তাদের তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে
১. অধিগ্রহণ করা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের চাকরি সময়ের ভিত্তিতে জ্যেষ্ঠতা, পদোন্নতি, সিলেকশন গ্রেড এবং প্রযোজ্য টাইম স্কেল প্রদান করতে হবে।
২. জাতীয়করণ হওয়া প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের প্রাপ্ত টাইম স্কেল সংক্রান্ত জটিলতার স্থায়ী সমাধান ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা পত্রটি সংশোধন করতে হবে।
৩. জাতীয়করণ হওয়া যোগ্য (যাদের সব কাগজপত্র ও প্রমাণাদি রয়েছে) শিক্ষকদের অধিগ্রহণ করার দাবি জানানো হয়েছে।