যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শেখ ফজলুল হক মনির বড় ছেলে শেখ ফজলে শামস পরশের নেতৃত্বে ‘ক্যাসিনোমুক্ত’ যুবলীগের নতুন যাত্রা শুরু হয়েছে।
সংগঠনটি সূত্রে জানা যায়, বিগত বছরে দেশব্যাপী চলমান অভিযানে ক্যাসিনো সম্পৃক্ততার অভিযোগে বিতর্কের মুখে পড়ে যুবলীগের বেশকিছু প্রভাবশালী নেতা। বিতর্কের মুখে যুবলীগের সকল কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় সংগঠনের তৎকালীন চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীকে। এছাড়া প্রায় ডজন খানেক নেতাকে বহিষ্কার করা হয়।
ক্যাসিনো সম্পৃক্ততার অভিযোগে অব্যাহতি ও বহিষ্কারের পর সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। বৈঠকে প্রেসিডিয়াম সদস্য চয়ন ইসলামকে আহ্বায়ক ও সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদকে সদস্য সচিব করে বয়সসীমা নির্ধারণসহ সংগঠনটির অষ্টম জাতীয় কংগ্রেস আয়োজনের প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়।
২০১৯ সালের ২৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত সংগঠনটির অষ্টম জাতীয় কংগ্রেসে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক চয়ন ইসলামের প্রস্তাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন শেখ ফজলে শামস পরশ। ওই কংগ্রেসে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন মহানগর উত্তর শাখার সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল। দীর্ঘ এক বছর পর গত ১৪ নভেম্বর সংগঠনটির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, আওয়ামী যুবলীগের নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল ক্যাসিনো অভিযোগ মুক্ত একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা। সংগঠনের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের নেতৃত্বে সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সফল হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের মাধ্যমে যুবলীগ এক নতুন যাত্রা শুরু করলো।
তারা বলছেন, আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মনির যোগ্য উত্তরসূরির হাতে এই সংগঠনটি নবযাত্রা শুরু হয়েছে। আগামী দিনে আওয়ামী যুবলীগ অতীতের মতোই উজ্জ্বল ভূমিকা পালন করবে।
যুবলীগের বিদায়ী কমিটির বেশ কয়েকজন নেতা বলেন, নবগঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন বিদায়ী কমিটির অধিকাংশ নেতাই। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের পদায়ন করা হয়েছে। প্রদানের ক্ষেত্রে সাংগঠনিক দক্ষতা বিচক্ষণতাকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করা হয়েছে। সর্বোপরি একটি বিতর্কমুক্ত শুদ্ধ কমিটি উপহার দিতে পেরেছে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক।