‘নির্বাচন কমিশনে যাদের নাম ঘোষণা হবে তাদের পদত্যাগ করা উচিত’

নির্বাচন কমিশন গঠনে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে যাদের নাম ঘোষণা করা হবে তাদের স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে কমিশনার হিসেবে যাদের নাম ঘোষণা করা হবে, ইতিহাসের পাতায় তাদের নাম কালো তালিকা হয়ে থাকবে। তাই স্বেচ্ছায় তাদের পদত্যাগ করা উচিত।

বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন আব্দুস সালাম। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক এ সভার আয়োজন করে জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদ।

আব্দুস সালাম বলেন, যারা পরবর্তী নির্বাচন কমিশনার হতে চাচ্ছেন আপনাদের আমরা শ্রদ্ধা করি। কিন্তু সেই নির্বাচন কমিশনে গিয়ে আপনারা কোনো কাজ করতে পারবেন না।

বিএনপির আহ্বায়ক বলেন, আওয়ামী লীগ যদি ক্ষমতায় থাকে, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী চেয়ারে বহাল থাকেন, এ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকেন, সব মন্ত্রী থাকেন তাহলে আপনারা নির্বাচন কমিশনে বসে কী করবেন? নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পারবেন? কোনোভাবে সম্ভব নয়। তাই এখনো সময় আছে। দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে কমিশনার হিসেবে যাদের নাম ঘোষণা করা হবে স্বেচ্ছায় আপনারা নাম প্রত্যাহার করুন।

বিএনপির এ নেতা বলেন, আজ দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে আটক করে রাখা হয়েছে। তার চিকিৎসা সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না। এর একটাই কারণ তার জনপ্রিয়তা। এজন্য সরকার ভয় পায়। তিনি বাইরে গেলে লাখ লাখ মানুষ বের হলে তো সরকারের গদি শেষ।

সরকার যত কিছুই করুক না কেন, এবারের নির্বাচনে আর পার হতে পারবে না। মানুষকে কিছুদিনের জন্য বোকা বানানো যায়, দীর্ঘদিন বোকা বানানো যায় না— যোগ করেন তিনি।

আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন ও সেই সময় খালেদা জিয়া ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য তার নাম ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তখন খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, নির্বাচন হয়ে গিয়েছিল, মন্ত্রিপরিষদ গঠন হয়েছিল। যদি আপনাদের মতো খালেদা জিয়া ক্ষমতা না ছাড়তেন তাহলে কী করতেন? আপনারা যেভাবে র‌্যাব-পুলিশ দিয়ে মানুষ হত্যা করে ক্ষমতায় আছেন। খালেদা জিয়াও সেভাবে থাকতে পারতেন। কিন্তু তিনি প্রমাণ করেছেন ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করেন না। ২০১৪ সালে আপনারা তো বলেছিলেন দরকার হয় আরেকটা নির্বাচন দেবো। কই আপনারা তো ক্ষমতার লোভ সামলাতে পারেননি।

আয়োজক কমিটির সভাপতি এম গিয়াস উদ্দিন খোকনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, মোহাম্মদপুর থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জামাল হোসেন টুয়েল, কৃষক দলের সাবেক নেতা মিয়া মো. আনোয়ার, প্রচার দলের সভাপতি মাহফুজ কবির মুক্তা, দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও সংগঠনের সভাপতি রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published.

scroll to top