স্বাস্থ্যের ডিজির পদত্যাগ ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে : তথ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের (ডিজি) পদত্যাগের ফলে দফতরটিকে ঢেলে সাজাতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

বুধবার (২২ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক পদত্যাগ করায় তাকে ধন্যবাদ জানাই। কারণ স্বাস্থ্য অধিদফতর নিয়ে জনমনে অনেক অসন্তুষ্টি তৈরি হয়েছিল, বিশেষ করে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্তাব্যক্তিদের নিয়ে। সেই প্রেক্ষাপটে আমি মনে করি, তার পদত্যাগ স্বাস্থ্য অধিদফতরকে ঢেলে সাজানোর ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে।’

বন্যা নিয়ে বিএনপি নেতাদের বিরূপ মন্তব্যের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বন্যার পানি কি বাংলাদেশে এই প্রথম এলো? দেশে তো প্রতি বছরই বন্যা হয়, ঢাকা শহরেও প্রতি বছর পানি ওঠে। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন বুঝি বন্যা হয়নি?’

১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড় ও ২০০৪ সালের বন্যার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘২০০৪ সালের বন্যায় বিএনপির অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানসহ বহু মন্ত্রী-নেতার বাড়ির চারপাশে নোংরা পানি ছিল। তারা গুলশান লেক সংস্কার করতে ব্যর্থ হয়েছিল বলেই তা ঘটেছিল। অবান্তর কথা বলা বিএনপির অভ্যাসে পরিণত হয়েছে, অবান্তর কথা না বলে তারা বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ালে বরং জনগণ উপকৃত হবে।’

নামসর্বস্ব পত্রিকা ও সাংবাদিক নামধারীদের বিরুদ্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থা নেবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এ দেশের সাংবাদিকরা অত্যন্ত মেধাবী, প্রাজ্ঞ এবং সুলেখক। তাদের রিপোর্টিং সমাজের তৃতীয় নয়ন খুলে দিতে পারে, ভাষাহীনকে ভাষা দিতে ও ক্ষমতাহীনকে ক্ষমতাবান করতে পারে, যা অনেক সাংবাদিক নিষ্ঠার সঙ্গে করে আসছেন। কিছু সাংবাদিক পরিচয়ধারী, যারা আসলে সাংবাদিক নয়, তাদের কারণে পুরো সাংবাদিক সমাজের বদনাম হতে পারে না। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি, যেখানে সাংবাদিক ভাইদের, সাংবাদিক ইউনিয়নগুলোর এবং সাংবাদিকদের অন্য সংগঠনগুলোসহ সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। যেহেতু এ অব্যবস্থা একদিনে হয়নি, দশকের পর দশক হয়ে আসছে, এটি ঠিক করতেও কিছুটা সময় লাগবে।’

এর আগে তথ্যমন্ত্রী আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের (অ্যামচ্যাম) পক্ষ থেকে ‘অ্যামচ্যাম কোভিড-১৯ ফ্রন্টলাইন অ্যাওয়ার্ড’ প্রদানের ঘোষণা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত হন।

মন্ত্রী তাদের এ উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, ‘করোনা মহামারির মধ্যেও যেসব সাংবাদিক, ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, মাঠ প্রশাসন সদস্যসহ যারা জীবন হাতে নিয়ে কাজ করে চলছেন এবং যারা এই সেবা দিতে গিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন, তাদের পুরস্কৃত করার এই উদ্যোগকে আমি অভিনন্দন জানাই।’

অ্যামচ্যাম প্রেসিডেন্ট সৈয়দ এরশাদ আহমেদের সভাপতিত্বে ভিডিও কনফারেন্সে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের উপপ্রধান জো-অ্যান ওয়াগনার, অ্যামচ্যামের ভাইস প্রেডিসেন্ট সৈয়দ মো. কামাল ও আমন্ত্রিত অতিথিরা অনলাইনে যোগ দেন।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published.

scroll to top