বঙ্গবন্ধু হত্যায় সরাসরি জিয়াউর রহমান এর মদদ ছিল

১৫ আগস্টে জাতির পিতার নৃশংস হত্যাযজ্ঞে জিয়াউর রহমান প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন, তার অকাট্য প্রমাণ পাওয়া যায় আত্মস্বীকৃত খুনিদের বয়ান থেকেই। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের অন্যতম আসামি খুনি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদ ফাঁসি কার্যকর হওয়ার আগে, সেই বার্তা স্পষ্ট করে গেছেন। ক্যাপ্টেন মাজেদের স্বীকারোক্তিতে জানা যায়, জাতির পিতাকে খুন থেকে শুরু করে, হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করার বিষয়টিও ছিলো জিয়াউর রহমানের পরিকল্পনার অংশ।

সদ্য স্বাধীন দেশের জন্মদাতা ঘুমিয়েছিলেন রাতের নৈশব্দে। ৭৫ এর আগষ্টে ধানমন্ডি ৩২ এর ৬৭৭ নম্বর বাড়িটিতে মনুষ্যরূপী হায়েনার দল হামলে পড়েছিলো স্বাধীনতা আর সম্ভাবনার প্রাণশক্তি চিরতরে কেড়ে নিতে।

নিকষ কালো আঁধারে কাপুরুষোচিত হামলায় স্তব্ধ করে দেয়া হয়েছিলো সাড়ে সাত কোটি মানুষের আজন্ম লালিত নেতাকে। ঘাতকদের বুলেটে নিমিষেই সার্বভৌম রাষ্ট্র হয়েছিলো পিতৃশূন্য এক কলঙ্কিত ভূমি।

পরাজিত শক্তির দোসরদের হাতেই জাতি সপরিবারে হারিয়েছে প্রাণ পুরুষকে। ন্যাক্কারজনক এই অধ্যায় তৈরীর কুলাঙ্গাররা, কিলিং মিশনের হুকুমদাতারাও আজ সত্যের আলোয় আসছেন। জাতির পিতা হত্যার দায়ে সবশেষ দণ্ডিত খুনী মাজেদের বয়ানে এই হত্যাযজ্ঞে জিয়াউর রহমানের সম্পৃক্ততা স্পষ্ট হয় দিনের আলোর মতো।

দণ্ডিত খুনী মাজেদ বলেন, 'জিয়াউর রহমান, উনার তো ডাইরেক্ট মদদ ছিলো ওদের প্রতি। ওনার কথাবার্তা সবকিছুতে বোঝা গেছে যে উনি ক্যুর সমর্থক। ওদের সাথেই ওনার যোগাযোগ।'

ফাঁসি কার্যকর হবার আগে আইন শৃঙ্খলারক্ষা বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে আবদুল মাজেদ জানান, শেখ পরিবার নিঃশেষ করার মিশনে থাকা সবাইকেই আইনি সুরক্ষা দিয়ে পুরস্কৃত করেছিলেন জিয়াউর রহমান।

মাজেদ বলেন, 'উনার ডাইরেক্ট মদদ ছিলো। উনি তো ওদেরকে টোটাল পেট্রোনাইজড করেছেন, একটা করে প্রমোশন জাম্পড এবং একটা করে ফরেন প্রাইজ পোস্টিংগুলি করে মোস্ট অব দেম শর্ট সার্ভিস কমিশনড অফিসার। অল্প কতদিনের, ইভেন তারা গ্র্যাজুয়েটও না। তাদেরকে ফরেন সার্ভিস হিসেবে প্রাইজ পোস্টিং দিয়েছে। এসব সুযোগ সুবিধার জন্য হয়েছে।'

উদ্যত অস্ত্রে যারা সে রাতে মুক্তির মন্ত্রণাদাতার কণ্ঠরোধ করেছে, জীবিত, পলাতক সেই ঘাতকদের শাস্তির মুখোমুখি করতে পারলে হয়তো, ইতিহাসের নিকৃষ্ট এই হত্যাযজ্ঞের আরো অনেক হুকুমদাতার নামই স্পষ্ট হবে বর্তমান প্রজন্মের কাছে।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published.

scroll to top