পাওয়ার প্লে'র মধ্যে সাজঘরে পাঁচ ব্যাটার। বিপর্যয় সামাল দিতে গিয়ে উল্টো বাজেভাবে আউট হলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আফগানিস্তানের করা ২১৫ রানের জবাবে মাত্র ৪৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে তখন দিশেহারা অবস্থা বাংলাদেশ দলের। সেখান থেকে হাল ধরলেন দুই তরুণ মেহেদি হাসান মিরাজ ও আফিফ হোসেন ধ্রুব।
শুধু হালই ধরলেন না, রীতিমতো বাংলাদেশকে পৌঁছে দিয়েছেন জয়ের বন্দরে। সপ্তম উইকেটে এ দু’জন মিলে গড়েছেন ১৭৪ রানের জুটি। যা বাংলাদেশের পক্ষে সপ্তম উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।
২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে সপ্তম উইকেটে ১২৭ রান যোগ করেছিলেন ইমরুল কায়েস ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। সেদিন ক্যারিয়ার সেরা ১৪৪ রানের ইনিংস খেলেন ইমরুল। আর সাইফউদ্দিনের ব্যাট থেকে আসে ৫০ রানের ইনিংস। এ দু’জনের কল্যাণে ১৩৯ রানে ৬ উইকেট হারানোর পরও ২৭২ রানের পুঁজি পেয়েছিল বাংলাদেশ।
আজ মাত্র ৪৫ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়ে ইমরুল-সাইফউদ্দিনকে টপকে গেলেন আফিফ-মিরাজ। তারা দু’জন মিলে শুধু বাংলাদেশের পক্ষেই সর্বোচ্চ নয়, সবমিলিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটে সপ্তম উইকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটির রেকর্ডও গড়ে ফেলেছেন। মাত্র ৩ রানের জন্য নিজেরা শীর্ষে উঠতে পারলেন না তারা।
সপ্তম উইকেট জুটিতে বিশ্ব রেকর্ডটি ইংল্যান্ডের জস বাটলার ও আদিল রশিদের। ২০১৫ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাটলার ও রশিদ মিলে যোগ করেছিলেন ১৭৭ রান। আজ অবিচ্ছিন্ন থেকে ম্যাচ জিতিয়ে আফিফ-মিরাজের জুটিতে হলো ১৭৪ রান।
সপ্তম উইকেট জুটিতে বাংলাদেশের রেকর্ড
১/ আফিফ হোসেন-মেহেদি হাসান মিরা্জ – ১৭৪* রান বনাম আফগানিস্তান (২০২২)
২/ ইমরুল কায়েস-মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন – ১২৭ রান বনাম জিম্বাবুয়ে (২০১৮)
৩/ মুশফিকুর রহিম-নাইম ইসলাম – ১০১ রান বনাম নিউজিল্যান্ড (২০১০)
৪/ অলক কাপালি-খালেদ মাসুদ – ৮৯ রান বনাম কেনিয়া (২০০৬)
৫/ মোসাদ্দেক হোসেন-মুশফিকুর রহিম – ৮৫* রান বনাম ইংল্যান্ড (২০১৬)
সপ্তম উইকেট জুটিতে বিশ্ব রেকর্ড
১/ জস বাটলার-আদিল রশিদ – ১৭৭ রান বনাম নিউজিল্যান্ড (২০১৫)
২/ আফিফ হোসেন-মেহেদি হাসান মিরা্জ – ১৭৪* রান বনাম আফগানিস্তান (২০২২)
৩/ জস বাটলার-ক্রিস ওকস – ১৩৮ রান বনাম শ্রীলঙ্কা (২০১৬)
৪/ অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার-হিথ স্ট্রিক – ১৩০ রান বনাম ইংল্যান্ড (২০০১)
৫/ ইমরুল কায়েস-মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন – ১২৭ রান বনাম জিম্বাবুয়ে (২০১৮)