যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চীনের নতুন নিষেধাজ্ঞা

যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে চীন। সাত মার্কিন নাগরিক এবং প্রতিষ্ঠানের ওপর শুক্রবার এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয় বেইজিং। আর কয়েকদিন পরেই বাইডেন প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্মকর্তার চীন সফরের কথা রয়েছে। তার আগেই নতুন করে দু'দেশের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হলো।

চীনে মানবাধিকার লঙ্ঘন, বাণিজ্য, সাইবার নিরাপত্তা এবং করোনাভাইরাসের উৎস নিয়ে বেইজিং এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে আগে থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করছে। এক পক্ষ আরেক পক্ষের ওপর এর আগেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

হংকংয়ে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বাড়ছে। গত সপ্তাহে এ বিষয়ে মার্কিন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন সরকারি এজেন্সিগুলো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং উদ্যোক্তাদের এ বিষয়ে সতর্ক করেছে যে, হংকংয়ের নতুন নিরাপত্তা আইনের কারণে তারা ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে। এক বছর আগে হংকংয়ে ওই আইন পাস হয়।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ভিত্তিহীনভাবে হংকংয়ের ব্যবসায়িক পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ন্ত্রণকারী মৌলিক বিষয়গুলো এবং আন্তর্জাতিক আইন ভয়াবহ ভাবে লঙ্ঘন করা হচ্ছে।

এর প্রতিক্রিয়ায় চীন বলছে, তারা মার্কিন সাত নাগরিক ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে। এর মধ্যে সাবেক মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী উইলবার রোজও রয়েছেন। তিনি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনে দায়িত্ব পালন করেছেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে চীনের টেলিকম জায়ান্ট হুয়াওয়ে এবং জেটিইসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন রোজ। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারবে না এমন চীনা কোম্পানিগুলোর বর্ধিত তালিকা প্রকাশ করেন তিনি। এসব কোম্পানির সঙ্গে ব্যবসা করতে হলে আগে থেকেই মার্কিন কোম্পানিগুলোকে লাইসেন্স গ্রহণ করতে হবে বলে জানানো হয়।

আর কয়েকদিন পরেই চীনে মার্কিন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়েন্ডি শেরমানের বেইজিংয়ে সফর করার কথা রয়েছে। তার এই সফরে তিনি দু'দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে জোর দেবেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের শীর্ষ কোনো কর্মকর্তার এটাই প্রথম চীন সফর হতে যাচ্ছে।

চীনের নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা অন্যান্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলো হলো, ইউএস-চায়না ইকোনমিকের প্রধান ক্যারোলিন বার্থোলোমিউ, সিকিউরিটি রিভিউ কমিশন, অ্যাডাম কিং অব ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইন্সটিটিউট এবং চীনে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের পরিচালক সোফি রিচার্ডসন।

এদিকে চীনের এই নিষেধাজ্ঞার পর নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন রিচার্ডসন। খ্যাতনামা এই বিশেষজ্ঞ এক টুইট বার্তায় বেইজিং সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, এই ঘটনা তাকে কাজের প্রতি আরও উৎসাহ দেবে।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published.

scroll to top