প্রাথমিক শিক্ষদের নিয়ে নতুন যা বললেন গণশিক্ষা সচিব

প্রাথমিকে প্যানেলে শিক্ষক নিয়োগের কোনও সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আকরাম আল হোসেন। রবিবার ( ৬ সেপ্টেম্বর) তিনি প্রথম খবরকে বলেন, আমরা যখন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিলাম সেখানে প্যানেলে নিয়োগের বিষয়টি ছিল না। যে কারণে প্যানেলে শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করা কোনওভাবে সম্ভব না।

সিনিয়র সচিব প্রথম খবরকে বলেন, আমরা আরও শিক্ষক নিয়োগের জন্য কাজ শুরু করেছি। খুব দ্রুতই এটা বিজ্ঞাপন আকারে জারি হবে। কী পরিমাণ শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হতে পারে প্রশ্নে তিনি বলেন, আমাদের প্রি-প্রাইমারির ২৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগের অনুমোদন আছে। এছাড়া জুন থেকে এখন পর্যন্ত যে শূন্যপদ হয়েছে সেগুলো ধরে আমরা একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেবো।

প্রসঙ্গত, নতুন করে বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে প্যানেলের মাধ্যমে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানিয়ে আসছে ২০১৪ সালের স্থগিত ও ২০১৮ সালে উত্তীর্ণ প্রার্থীরা। প্রার্থীরা জানান, ২০১৪ সালে স্থগিত ও ২০১৮ অনুষ্ঠিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ১৩ লাখ প্রার্থী।

এতে মোট উত্তীর্ণ হন ২৯ হাজার ৫৫৫ জন প্রার্থী। শূন্যপদ থাকার পরও নিয়োগ দেওয়া হয় মাত্র ৯ হাজার ৭৬৭ জনকে। এই পরীক্ষায় পাসের হার ছিল মাত্র ২ দশমিক ৩ শতাংশ। উত্তীর্ণ ১৯ হাজার ৭৮৮ জন আজও প্যানেলভুক্তির অপেক্ষায় রয়েছেন।

প্যানেল প্রত্যাশীরা প্রথম খবরকে জানান, পদ শূন্য থাকার পরও ২০১০-২০১১ সালের প্যানেল শিক্ষকদের নিয়োগ না দিয়ে ২০১৪ সালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়। সে কারণে ওই সময়ের প্যানেল প্রার্থীরা মামলা করেন।

সেই মামলা জটিলতায় ২০১৪ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া পরবর্তী চার বছর স্থগিত রাখে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। মামলার রায়ে প্যানেলভুক্ত ৪২ হাজার ৬১১ জনকে ২০১৮ সালে নিয়োগ দেওয়া হয়। এরপর আবারও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অনেকের জীবন থেকে চার বছর নষ্ট হয়ে যায়।

প্যানেল প্রত্যাশীদের দাবি, বর্তমানে শূন্য পদের সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার। করোনাকালে তীব্র শিক্ষক সংকট দূর করতে যোগ্য ও বঞ্চিত প্রার্থীদের প্যানেলের মাধ্যমে শূন্য পদে নিয়োগ দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেককে চাকরি দিতে চান, অথচ মন্ত্রণালয় বেকার বানিয়ে রেখেছে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের।

সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষকের শূন্য পদে নিয়োগে দীর্ঘসূত্রিতা দূর করতে প্যানেল পদ্ধতি চালুর সুপারিশও করে অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published.

scroll to top