ছোট শিশুরা যারা স্কুলে ভর্তি হয়েও শ্রেণিকক্ষ দেখেনি, তাদের প্রথমবার সেই সুযোগ ঘটতে যাচ্ছে আগামী ২০ মার্চ৷ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানিয়েছে৷
বাংলা, ইংরেজি ও গণিতে শিক্ষার্থীদের বিশেষ শিখন ঘাটতি চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় সহায়তামূলক শ্রেণি কার্যক্রমের মাধ্যমে তা পূরণ করতে বলা হয়েছে শিক্ষা অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে৷ মহামারির কারণে দুই বছর যাবত প্রাক-প্রাথমিকে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ৷ প্রথম শ্রেণিতে যাওয়ার আগেই এই শ্রেণিগুলোতে অনেক শিক্ষার্থী ভর্তির কয়েক মাস পরই ক্লাস বন্ধ হয়ে যায় ৷ বন্ধ থাকা অবস্থায়ও অনেকে স্কুলে ভর্তি হয়েছে৷
এই দুই বছর প্রাক প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের কাছে ক্লাস মানেই ছিল মোবাইল ফোন কিংবা কম্পিউটার-ট্যাব৷ অর্থাৎ ভার্চুয়াল ক্লাসের মাধ্যমেই শিশুদের শিক্ষাজীবন শুরু৷
সংক্রমণ আবার কমে যাওয়ায় ধীরে ধীরেসব ক্লাস খুলছে এবং সবশেষে প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদেরও ক্লাসে ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল সরকার৷
দুই সপ্তাহ সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জানিয়েছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম৷ পরে অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে ক্লাস রুটিনে শিক্ষার্থীদের ক্লাস ২০ মার্চ থেকে শুরু করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়৷