চতুর্থ শ্রেণির দুই শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ের ভবনের ভেতরে রেখে তালাবদ্ধ করার ঘটনায় প্রধান শিক্ষকসহ দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে শিক্ষা অধিদপ্তর।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ মজুমদার।
তিনি জানান, দায়িত্ব অবহেলায় শ্রেণি শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কার এবং প্রধান শিক্ষককের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এদিকে অভিযুক্ত বরিশাল নগরের ইন্দ্রকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি শিক্ষক ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা মাকসুদা বেগম দাবি করেছেন। একইসঙ্গে তিনি শিশুদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া বিষয়টি ইচ্ছাকৃত ছিল না। এজন্য দুঃখ প্রকাশও করেন।
এদিকে অন্য শিক্ষকদের দাবি, অভিভাবক কমিটি গঠন নিয়ে একটি পক্ষ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে। এর কারণেই এ বিষয়টি দেখা হচ্ছে।
অভিভাবক কমিটি গঠন নিয়ে দলাদলি রয়েছে এমন কথা জানিয়ে ইন্দ্রকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তানিয়া সুলতানা বলেন, বিকেল সোয়া ৪টায় গেট তালাবদ্ধ করলেও ফোন পেয়ে ২০ মিনিটের মধ্যেই চাবি নিয়ে গেট খুলতে চাইলেও এলাকার কয়েকজন গেট খুলতে বাঁধা দেন।
তার দাবি, পরবর্তীতে পুলিশ, সাংবাদিকদের ডেকে সবাইকে জানিয়ে গেট খোলা হয়, শুধুমাত্র শিক্ষকদের হেনস্তা করতে।
যদিও অভিভাবকরা বলছেন, শিশুদের আটকে তালা দিয়ে যাওয়ার ঘটনাটিকে ধামাচাপা দিতে কিংবা ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক। তাদের মতে, বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টদের উচিত জনবল বাড়ানোর পাশাপাশি ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সেদিকে খেয়াল দেওয়া।
এদিকে আটকে পড়া চতুর্থ শ্রেণির দুই শিক্ষার্থী ফারজান ও মুনমুন জানায়, সেদিন বিকেলের শিফটে স্কুলে আসে তারা। বিকেল ৪টায় ক্লাস টিচার তাদের অংক করতে বলে ক্লাসরুম থেকে হয়ে যায়। তবে, কিছু সময় পর তারাও ক্লাস থেকে বের হয়ে দেখে স্কুলের গেট তালাবদ্ধ। এসময় চিৎকার দিলে পাশ থেকে লোকজন ছুটে আসে। পরে তাদের সহযোগিতায় অভিভাবকরা খবর পান এবং তাদের সেখান থেকে মুক্ত করে।
উল্লেখ্য, শিশু থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত এ বিদ্যালয়ে ২৫১ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। আর ৯ জন শিক্ষকের স্থলে আছেন মাত্র ৪ জন, আর অফিস সহকারী ১ জন।