উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা না থাকায় মাসিক বেতনভাতা পাচ্ছেননা ১ হাজার ২শ ৭৫ জন শিক্ষক । বেতনভাতা না পাওয়ায় বিপাকে পরেছেন তারা।
বাউফল উপজেলা সরকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সুত্র জানায়, বাউফল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রিয়াজুল ইসলামকে চলতি বছর ১৬ ফেব্রুয়ারি বদলী করা হয়। তার বদলীর কারণে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের পদটি শূণ্য হয়ে যায়। সিনিয়র সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার দেবাশীস ঘোষকে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তার দায়িত্ব দেয়া হয় । কিন্তু তাকে আর্থিক দায়িত্ব দেয়া হয়নি। এর ফলে আটকে যায় উপজেলার২শ৩৯টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ হাজার ২শ ৭৫ জন শিক্ষকের প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা । এসব শিক্ষকদের বেতন সাধারণত প্রথম মাসের ২ তারিখের মধ্যে ইলেকট্রনিকফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি) এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের একাউন্ডে জমা হয় । শিক্ষক তাদের নিজস্ব একাউন্ড থেকে বেতন ভাতা তুলে নেয় । কিন্তু গত ফেব্রুয়ারি ২০২২ এর বেতন ভাতা চলমান মার্চ মাসের ৮ তারিখেও না পাওয়ায় নানা সমস্যার পড়তে হচ্ছে শিক্ষকদের ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রধান শিক্ষক জানান, তার কন্যা এইচএসসিতে গোল্ডন জিপি-৫ পেয়ে উর্ত্তীণ হয়েছেন । সে ঢাকার একটি কোচিংয়ে পড়াছেন। যথা সময়ে বেতন ভাতা না পাওয়ায় কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী কন্যা, বাসাভাড়া,পড়াশুনার খরচ সহ নানাবিধ সমস্যার সন্মুখীন হন তিনি ।
অন্য এক শিক্ষক বলেন, পরিবারে বয়স্ক বাবা,মায়ের ঔষধ, নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য দ্রব্য মূল্য একদিকে বৃদ্ধি ,স্ত্রী পুত্র নিয়ে তিনি কষ্টে রয়েছেন।
এ বিষয়ে বাউফল উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার দেবাশীষ ঘোষ প্রথম খবরকে বলেন, তাকে আর্থিক দায়িত্ব দেয়া হয়নি। তবে এ বিষয়ে তিনি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করেছেন ।
পটুয়াখালী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোল্লা বক্তিয়ার রহমান বলেন, শিক্ষকদের বেতন ভাতা দেয়ার জন্যে চার্জে থাকা উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কর্মকতাকে আর্থিক পাওয়ার দেয়ার জন্যে ডিজি মহোদয়কে চিঠি লিখেছি।