পাকিস্তানে পাথরখনিতে ধস: নিহত ১৯, এখনও আটকা বহু শ্রমিক

পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে একটি খনিতে পাথরধসে অন্তত ১৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এখনও খনির ভেতর আটকা রয়েছেন বহু শ্রমিক। সোমবার রাতে দেশটির খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশের মোহমান্দ জেলায় শ্বেতপাথরের একটি খনিতে ঘটেছে এ দুর্ঘটনা।

স্থানীয় পুলিশ প্রধান তারিক হাবিব জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার সময় অন্তত ৪০ থেকে ৫০ জন শ্রমিক ছিলেন ঘটনাস্থলে। তাদের ওপর বিশাল এক পাথরখণ্ড ধসে পড়লে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

তিনি বলেন, সাধারণত এসব খনিতে অনেক লোক কাজ করে। তবে সৌভাগ্যবশত দুর্ঘটনার আগে বেশিরভাগ লোক কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন।

প্রাদেশিক খনিজ ও খনিজ উন্নয়ন মন্ত্রী মুহাম্মদ আরিফ জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত ২৯ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।

উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, আহতদের মধ্যে বেশিরভাগ শ্রমিকের অবস্থাই গুরুতর। এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও বহু লোক আটকা থাকতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

স্থানীয়দের বরাতে জেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার পর অন্তত ২৫ শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে।

আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী জিয়ারাত এলাকার এসব খনিতে উন্নত মানের শ্বেতপাথর পাওয়া যায়। প্রত্যন্ত এলাকায় অবস্থিত খনিগুলোতে শ্রমিকদের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকার অভিযোগও দীর্ঘদিনের। প্রতি বছরই এসব খনিতে দুর্ঘটনায় কয়েক ডজন মানুষ প্রাণ হারান।

২০১১ সালে বালোচিস্তানের সোরাঞ্জ জেলার একটি কয়লাখনিতে বিস্ফোরণে অন্তত ৪৩ শ্রমিক নিহত হয়েছিলেন। ২০১৮ সালে একই প্রদেশের মারওয়ারে আরেকটি কয়লাখনিতে গ্যাস বিস্ফোরণে প্রাণ হারান ১৬ জন।

সূত্র: ডন, আল জাজিরা

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published.

scroll to top