মাদরাসার আবাসিক ছাত্রীদের কক্ষে ডেকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে কুমিল্লার মুরাদনগর উম্মেহানি মহিলা মাদরাসার পরিচালক মো. হাসানকে (৪৬) আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে তাকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
অভিযুক্ত মো. হাসান উপজেলার নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের নিমাইকান্দি গ্রামের মৃত আব্দুস ছাত্তারের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, একাধিক ছাত্রীকে গোপনে কক্ষে নিয়ে মো. হাসানের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ করে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। ছাত্রীদের সাথে অশালীন আচরণ করে এরআগে সে দুইমাস কারাগারে ছিলেন।
সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে মাদরাসার পরিচালক হাসান তার অফিস কক্ষে ঢেকে আনেন। এ সময় বিভিন্ন কথা বলার একপর্যায়ে ওই ছাত্রীর সাথে যৌন উত্তেজনামূলক কথা বলাসহ অশালীন আচরণ করেন। পরে পরিচালকের কক্ষ থেকে বের হয়ে ওই ছাত্রী তার সহপাঠিদের ঘটনাটি জানান। ঘটনাটি ছাত্রীদের মাধ্যমে অভিভাবকদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে। শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অভিভাবকরা এসে মাদরাসা ঘেরাও করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মাদরাসা পরিচালক হাসান ও ঘটনার শিকার মাদরাসার ছাত্রী ও স্বাক্ষীগণকে থানায় নিয়ে আসেন। পরে দুপুরে ওই ছাত্রীর মা বাদি হয়ে পরিচালক হাসানের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির লিখিত অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন।
বিক্ষোভে অংশ নেয়া ছাত্রীরা জানান, ‘হুজুর রাতে পলাক্রমে আমাদের রুমে নিতেন। পাশে বসিয়ে যা ইচ্ছে তাই করতেন, কাউকে এসব কথা বলতে নিষেধ করেন।’
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাদেকুর রহমান বলেন, ‘মাদরাসা পরিচালক মো. হাসানের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’