কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আট বাসের মধ্যে চলছে তিনটি, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

পর্যাপ্ত পরিবহন সুবিধা সরবরাহ না করে চূড়ান্ত পরীক্ষা নেয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীরা। করোনা সঙ্কটেও প্রায়ই গাদাগাদি করে শহর থেকে ক্যাম্পাসে যাতায়াত করতে হয় শিক্ষার্থীদের। ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকির আশঙ্কা করছেন অনেকে।

জানা যায়, করোনা সঙ্কটে বিশ্ববিদ্যালয় দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় তীব্র সেশনজটের শঙ্কায় পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এমতাবস্থায় শিক্ষার্থীদের স্বার্থ বিবেচনা করে গেল বছরের ২০ ডিসেম্বর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ সেমিস্টারের চূড়ান্ত পরীক্ষা নেয়া শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়। পরবর্তীতে ধাপেধাপে অন্যান্য সেমিস্টারেরও আটকে থাকা চূড়ান্ত পরীক্ষা নিতে থাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সবকটি বিভাগেই বিভিন্ন সেমিস্টারের চূড়ান্ত পরীক্ষা চলমান। তাছাড়া শেষবর্ষ থেকে শুরু করে প্রথমবর্ষ পর্যন্ত অন্তত ৮০ শতাংশ সেমিস্টারের চূড়ান্ত পরীক্ষার রুটিন ইতোমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে। বাকি ২০ শতাংশের রুটিনও শিগগিরই প্রকাশ করা হবে। এছাড়া বিভিন্ন বিভাগের মিডটার্মও চলমান। এতে প্রায় সব ব্যাচের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত কুমিল্লা শহর থেকে ক্যাম্পাসে যাতায়াত করেন। তবে পর্যাপ্ত বাসের অভাবে প্রায়ই গাদাগাদি করে যাতায়াত করতে হয় তাদের।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষার্থী ইশতিয়াক আহমেদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ ফেসবুক গ্রুপে স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘করোনার মধ্যেও আমাদেরকে গাদাগাদি করে বাসে যাতায়াত করতে হয়। অথচ বাকি বাসগুলো অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। আমাদের নিরাপত্তা কোথায়?’

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুল সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে ক্রয় করা অন্তত আটটি শিক্ষার্থী বাস থাকলেও বর্তমানে মাত্র তিনটি বাস শিক্ষার্থীদের আনা-নেয়া করছে। বাকি পাঁচটি বাসই অব্যবহৃত পড়ে আছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী রকিবুল হাসান বলেন, ‘ক্লাস বন্ধ থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কম হওয়ার পরও নিয়মিত বাদুড় ঝুলে ক্যাম্পাসে যাতায়াত করতে হয়। অথচ প্রশাসন এসব বিষয়ে উদাসীন।’

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের প্রথম খবরকে বলেন, ‘বর্তমানে শিক্ষার্থীদের জন্য তিনটি বাস চলাচল করলেও চাহিদার আলোকে এ সংখ্যা বাড়ানো হবে। এ ব্যাপারে আমি পরিবহন পুলের সঙ্গে কথা বলবো।’

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published.

scroll to top