অপহৃত শিশু রুমানের মালয়েশিয়া প্রবাসী বাবার কাছ থেকে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশে রুমানের মা রুমানকে নিজেই অপহরণ করেন
মালয়েশিয়া প্রবাসী স্বামীর কাছে থেকে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশে নিজ সন্তানকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে মা রুনা আক্তারের বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।
অপহৃত শিশু রুমান (৮) দাউদকান্দির বিটেশ্বর এস আর আদর্শ স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। তাকে তিন দিন পর ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।
শিশু রুমান কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার তিনপাড়া গ্রামের প্রবাসী নাসির মিয়ার ছেলে।
পুলিশ জানায়, গত সোমবার শিশুটিকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অপহৃত শিশু রুমানের মা রুনা আক্তার মঙ্গলবার বাদী হয়ে দাউদকান্দি মডেল থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। পাশাপাশি অপহরণকারীরা মুক্তিপণ চেয়ে হুমকি দিচ্ছেন বলা হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
কিন্তু পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, অপহৃত শিশু রুমানের বাবা মালয়েশিয়া প্রবাসী নাসির মিয়ার কাছ থেকে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশে রুমানের মা রুনা আক্তার রুমানকে নিজেই অপহরণ করেন।
দাউদকান্দি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হারুনুর রশিদ বলেন, "গত সোমবার সকালে অপহরণের পর অপহৃত শিশু রুমানকে প্রথমে রুমানের ফুপা দাউদকান্দির চক্রতলা গ্রামে স্বপন মিয়ার বাড়িতে রাখা হয়। পরদিন মঙ্গলবার রোমানের মা রুনা আক্তার বাদী হয়ে দাউদকান্দি মডেল থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন এবং মুক্তিপণ চাওয়ার কথাও পুলিশকে অবহিত করেন।"
পুলিশ মুক্তিপণ চাওয়া মুঠোফোন ও রুমানের মায়ের মুঠোফোনের সূত্র ধরে অভিযান চালায়। পুলিশের অভিযান আঁচ করতে পেরে অপহরণকারীরা একাধিক স্থান পরিবর্তন করেন। পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার সকালে অভিযান চালিয়ে রুমানকে যাত্রাবাড়ীর আপন বাস কাউন্টার এলাকা থেকে উদ্ধার করে।
মিথ্যা অপহরণের মামলা দায়েরের ঘটনায় রুমানের মা রুনা আক্তার, ফুপা স্বপন মিয়া, খালা নাসরিন আক্তার ও মামী নুসরাত জাহান লাকীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় রুনার বিরুদ্ধে স্বামীর কাছ থেকে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে ছেলেকে লুকিয়ে রেখে অপহরণ মামলা দায়েরের অভিযোগ আনা হয়েছে। সহযোগী হিসেবে আসামি করা হয়েছে আরও তিনজনকে।
