প্রাথমিক নিয়ে গণশিক্ষা সচিবের নতুন বার্তা

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আকরাম-আল-হোসেন বলেছেন, করোনার প্রকোপ কমলে প্রাথমিক বিদ্যালয় খুললে ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণসহ শিক্ষার্থীর সংখ্যা বিবেচনায় পালাক্রমে ক্লাস নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সচিব এ কথা জানান।

তিনি বলেন, খোলার আগে প্রত্যেকটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক কোন কোন গাইডলাইন অনুসরণ করবে আমরা সেটি জানিয়ে দিয়েছি। সেখানে আমরা বলেছি, স্কুলগুলো পরিষ্কার করতে হবে। হাত ধোয়ার ব্যবস্থা থাকতে হবে। নিরাপত্তার জন্য মাস্ক নিশ্চিত করতে হবে।

সচিব বলেন, এখন পর্যন্ত স্কুল খোলার পরিবেশ তৈরি তৈরি হয়নি। গ্রামে, রুট লেভেলে যে স্কুলগুলো আছে সেখানে আমরা মনে করছি এখনও পরিবেশ তৈরি হয়নি।

গণশিক্ষা সচিব বলেন, গাইডলাইন অনুযায়ী যেসব স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি সেখানে শিফটিং করতে হবে। একদিন এক শ্রেণিকে আনলে পরের দিন আরেক শ্রেণিকে আনতে হবে। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে স্কুল খোলার পরিকল্পনা করবে। এই পরিকল্পনা প্রত্যেকটি স্কুলের জন্য এবং এতে সহায়তা করবেন উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। পরিকল্পনা অনুযায়ী স্কুলগুলো পরিচালিত হচ্ছে কি না, সেটি তারা তদারকি করবেন।

তিনি বলেন, যখন আমরা মনে করব যে কভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে, স্কুলগুলো খোলার মতো পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে, তার আগেই আমাদের প্রধান শিক্ষকদের, কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেব আপনারা এখন গাইডলাইন অনুসরণ করে স্কুলগুলো পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করে প্রস্তুতি গ্রহণ করুন। আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বসে সব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।

বিদ্যালয় পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হলে ছয়টি মাত্রা যথা, নীতিনির্ধারণ, অর্থ সংস্থান, নিরাপদে কার্যক্রম পরিচালনা, শিখন, সার্বাধিক প্রান্তিক জনগোষ্ঠী পর্যন্ত পৌঁছানো নিশ্চিতকরণ এবং সুস্থতা/সুরক্ষা ব্যবস্থা বিবেচনা করে এই নির্দেশনা প্রণয়ন করা হয়েছে বলে জানায় মন্ত্রণালয়।

প্রসঙ্গত, দেশে সার্বিক করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ২৬ মার্চ থেকে সারা দেশে সব অফিস-আদালত আর যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা শুরু হয়। টানা ৬৬ দিন সাধারণ ছুটির পর ৩১ মে থেকে সীমিত পরিসরে অফিস খুলে যানবাহন চলাচল শুরু হলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধই থাকে।

চলতি বছরে এইচএসসি পরীক্ষাও মহামারীর কারণে স্থগিত রাখা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে চলতি বছর প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষাও নেয়া হবে না।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published.

scroll to top