প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের (কোভিড ১৯) নতুন ধরন ওমিক্রনের চোখ রাঙানিতে দেশে সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত) করোনায় আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে আক্রান্ত রোগী হিসেবে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও ১০ হাজার ৯০৬ জন। শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ২৯
এ নিয়ে দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৬ লাখ ৮৫ হাজার ১৩৬ জনে। এর মধ্যে মারা গেছেন ২৮ হাজার ২২৩ জন। এর আগের দিন (২২ জানুয়ারি) সাড়ে ৯ হাজারের বেশি শনাক্ত ও ১৭ জনের মৃত্যু হয়।
রোববার (২৩ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে আরও বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সরকারি-বেসরকারি ৮৫৭টি ল্যাবরেটরিতে ৩৫ হাজার ৫১ জনের নমুনা সংগ্রহ ও ৩৪ হাজার ৮৫৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে শনাক্ত হন ১০ হাজার ৯০৬ জন। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ২৯ শতাংশ।
এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ২১ লাখ ১৬ হাজার ৮৮০টি। এতে মোট শনাক্ত হন ১৬ লাখ ৭৪ হাজার ২৩০ জন। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের মোট হার ১৩ দশমিক ৯১ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ৮ জন নারী ও ৬ জন পুরুষ। মারা যাওয়াদের বিভাগওয়ারি বিশ্লেষণে দেখা যায়, ঢাকা বিভাগে ৫ জন, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ ২ জন করে এবং খুলনা, বরিশাল ও রংপুর বিভাগে একজন করে মারা গেছেন। এদিন রাজশাহী বিভাগে কারও মৃত্যু হয়নি।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ত্রিশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব একজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব চারজন, ষাটোর্ধ্ব পাঁচজন, সত্তোরোর্ধ্ব একজন এবং আশির্ধ্ব দুইজন রয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, একদিনে সেরে উঠেছেন ৭৮২ জন। এ নিয়ে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ১৫ লাখ ৫৬ হাজার ৮৬১ জন।
দেশে ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় এবং এর ১০ দিন পর করোনায় প্রথম রোগীর মৃত্যু হয়।