দেশসেবায় সেনাবাহিনীর গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে: রাষ্ট্রপতি

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, সূচনালগ্ন থেকেই দেশের সেবায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রয়েছে গৌরবময় ইতিহাস। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কর্মরত বাঙালি সেনা সদস্যরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে দেশব্যাপী সশস্ত্র যুদ্ধ শুরু করেন।

তিনি বলেন, নয় মাসব্যাপী রক্তক্ষয়ী এ সংগ্রামে এ বাহিনীর এক হাজার ৫৩৩ জন অকুতোভয় বীর সদস্য আত্মোৎসর্গ করে দেশপ্রেমের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এছাড়া বিশ্বশান্তি রক্ষায় এ বাহিনীর ১২৫ জন বীর সদস্য শহীদ হন। আজকের এই দিনে আমি তাদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি এবং তাদের আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করছি।

রাষ্ট্রপতি শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি গত পাঁচ দশকে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবদান অনস্বীকার্য। যে কোনো জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা, উদ্ধার ও পুনর্বাসন কার্যক্রমে সেনাবাহিনী প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখে চলেছে। মুক্তিযুদ্ধ ও দেশসেবায় অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ বাহিনীকে ২০০৭ সালে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করা হয়।

তিনি বলেন, দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্ব শান্তি রক্ষায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সেনাবাহিনীর ভূমিকা দেশের জন্য অভূতপূর্ব সুনাম বয়ে এনেছে। দেশ ও মানবতার সেবায় সেনাবাহিনীর অবদানের এ ধারাকে অব্যাহত রাখতে বর্তমান সরকার একটি যুগোপযোগী ও আধুনিক সেনাবাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন সেনাবাহিনীর সার্বিক কর্মকাণ্ডে গতি সঞ্চার করেছে। সরকারের এসব পদক্ষেপ সেনাবাহিনীর অগ্রগতি ও সমৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

তিনি আরও বলেন, দেশের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্য নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করবেন, এটাই সবার প্রত্যাশা। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আমি এ বাহিনীর সব সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।আমি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সমৃদ্ধি ও সাফল্য কামনা করছি।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published.

scroll to top