ইসলামে নারী নেতৃত্বের উদাহরণ-নবী(সা.) এবং খুলাফায়ে রাশেদীনদের সময়

১। কোরআন শরীফে মহান আল্লাহ তা'আলা বলেন:- “আর পুরুষদের যেমন স্ত্রীদের ওপর অধিকার রয়েছে,তেমনিভাবে স্ত্রীদেরও অধিকার রয়েছে পুরুষদের ওপর। আর নারীদের ওপর পুরুষদের শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে। আর আল্লাহ হচ্ছে পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।" (সূরা বাকারা, ২:২২৮)

২। নুসাইবা বিনতে কা’ব আল আনসারিয়াহ (রা.) ওরফে উম্মে আমারা (রা.), প্রথম মুসলিম নারীর অধিকার নিয়ে সোচ্চার হন। তিনিই সেই নারী যিনি রাসূল(সা)-কে প্রশ্ন করেছিলেন, কুরআনে কেন সবসময়ে পুরুষদের প্রতি আহবান করে কথা বলা হয়? নারীদেরকে কেন সম্বোধন করা হয় না? এরপরেই আল্লাহতাআলা নাজিল করেন সূরা আল আহযাবের ৩৬ নং আয়াত,
“নিশ্চয় মুসলমান পুরুষ ও মুসলমান নারী, ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারী, অনুগত পুরুষ ও অনুগত নারী, সত্যবাদী পুরুষ ও সত্যবাদী নারী, ধৈর্য্যশীল পুরুষ ও ধৈর্য্যশীল নারী, বিনীত পুরুষ ও বিনীত নারী, দানশীল পুরুষ ও দানশীল নারী, রোযা পালনকারী পুরুষ ও রোযা পালনকারী নারী, যৌনাঙ্গ হেফাযতকারী পুরুষ ও যৌনাঙ্গ হেফাযতকারী নারী, আল্লাহর অধিক যিকিরকারী পুরুষ ও অধিক যিকিরকারী নারী- তাদের জন্য আল্লাহ প্রস্তুত রেখেছেন ক্ষমা ও মহাপুরস্কার।” (৩৩:৩৫)   

৩। জীবিকা নির্বাহের প্রাথমিক দায়িত্ব পুরুষের। কখনও কখনও যদি অবস্থার প্রয়োজনে নারীকে প্রথম সারিতে গিয়ে জীবিকার লড়াইতে অবতীর্ণ হতে হয় সেটার সুযোগ আল্লাহ রেখেছেন। শোয়াইব (আ.) বৃদ্ধ হয়ে যাওয়ায় এবং তাঁর পুত্র সন্তান না থাকায় তাঁর দুই তরুণী কন্যা তাঁদের পশুপালের দেখাশোনা করতেন। কোরআনে আল্লাহ্ বলেন, “যখন তিনি মাদইয়ানের কূপের ধারে পৌছলেন, তখন কূপের কাছে একদল লোককে পেলেন তারা জন্তুদেরকে পানি পান করানোর কাজে রত। এবং তাদের পশ্চাতে দূ'জন স্ত্রীলোককে দেখলেন তারা তাদের জন্তুদেরকে আগলিয়ে রাখছে। তিনি বললেন, তোমাদের কি ব্যাপার? তারা বলল, আমরা আমাদের জন্তুদেরকে পানি পান করাতে পারি না, যে পর্যন্ত রাখালরা তাদের জন্তুদেরকে নিয়ে সরে না যায়। আমাদের পিতা খুবই বৃদ্ধ। ( সুরা কাসাস ২৮:২৩ )

৪। আল্লাহতাআলা বলেন,  “আল্লাহ ও তাঁর রাসূল কোনো কাজের আদেশ করলে কোনো ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীর সে বিষয়ে ভিন্ন (কিছু করার) ক্ষমতা নেই।  যে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আদেশ অমান্য করে সে প্রকাশ্য পথভ্রষ্টতায় পতিত হয়।” (৩৩:৩৬)

৫। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে : ‘নারীদের তেমনই ন্যায়সঙ্গত অধিকার আছে যেমন আছে তাদের ওপর পুরুষদের।’ ( সূরা বাকারা : ২২৮)

৫। প্রাচীন মক্কা নগরী প্রতিষ্ঠা করেন একজন নারী-বিবি হাজেরা:-

# আল্লাহ্‌র আদেশে, ইব্রাহিম (আ) ইসমাইল (আ)-কে তার মা হাজেরাসহ এই মক্কার বিরান ভূমিতে রেখে আসেন। এক সময়, হাজেরা ও ইসমাইলের জল শেষ হয়ে যায় এবং ইসমাইল অত্যন্ত তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়েন। বিবি হাজেরা বিষণ্ণ হয়ে পড়েন এবং জলের খোঁজে, আল-সাফা এবং আল-মারওয়াহ পাহাড়ের মাঝখানে সাতবার দৌড়ান। আল্লাহ্‌র আদেশে জমজম কূপ সৃষ্টি হয়। 

# এক পর্যায়ে জুরহুম গোত্রের লোকজন, আকাশে পাখি দেখে জমজম কূপের কাছে আসে, পানি পান করতে। পরবর্তীতে গোত্রের পশুদের জমজমের পানি খাওয়ার পরিবর্তে খাজনা দেওয়ার শর্ত সাপেক্ষে, বিবি হাজেরার অনুমতি সাপেক্ষে এখানে বসতি স্থাপন করেন এবং পরবর্তীতে এই গোত্রের মানুষের সাথেই হযরত ইসমাইল (আ) বড় হয়ে উঠেন। হযরত ইসমাইল (আ) তাদের কাছেই আরবি শেখেন, যেহেতু নবীর মাতৃভাষা আরবি ছিল না। ইসমাইল(আ) জুরহুমের এক মহিলাকে বিয়ে করেন।

ইসলামি ইতিহাস অনুযায়ী, হযরত ইসমাইল (আ) এর সময় সেখানে একত্ববাদ প্রচলিত থাকলেও কালক্রমে মক্কার মানুষেরা মূর্তিপূজা শুরু করে।


৬। ইসলাম ধর্মের শেষ নবী ও রাসূল হজরত মুহাম্মাদ (সা.) এবং ‘খোলাফায়ে রাশেদীন’দের সময় বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারী নেতৃত্বের এর উদাহরণ:- 

ব্যবসায়ী: হজরত খাদিজা (রা.) সেই সময় মক্কার সফল নারী ব্যবসায়ী ছিলেন।
সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণ করেছেন একজন নারী: হযরত মুহাম্মদ(সা.)এর সহধর্মিণী হজরত খাদিজা (রা.)। 
সর্বপ্রথম ইসলামের জন্য শহিদও হয়েছেন একজন নারী: সুমাইয়া (রা.)। সুমাইয়া বিনতে খাব্বাত যখন বার্ধক্যে দুর্বল হয়ে পরেছেন তখন মক্কায় ইসলামি দাওয়াতের সূচনা হয়। তিনি প্রথম ভাগেই স্বামী ইয়াসির ও ছেলে আম্মার ইবনে ইয়াসির সহ গোপনে ইসলাম গ্রহণ করেন। যিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার কারণে আবু জাহলের হাতে নিহত হন।

 

জিহাদে অংশগ্রহণ:- 
১। আয়িশা (রা.) ও উম্মে সালামা (রা.) ওহুদ জিহাদে অংশগ্রহণ করেন। উটের যুদ্ধে:- আয়িশা (রা.)  উটের উপরে থেকে  যুদ্ধ পরিচালনা করছিলেন বিধায় এই যুদ্ধ উটের যুদ্ধ নামে পরিচিত।
২। মহানবি (সা.)-এর ফুফু সাফিয়া বিনতে আবদিল মুত্তালিব (রা.) খায়বর জিহাদে অংশগ্রহণ করেন। 
৩। আসমা, উম্মুল খায়ের, জুরকা বিনতে আদি, ইকরামা বিনতে আতরাশ ও উম্মে সিনান অসংখ্য জিহাদে প্রতিরক্ষামূলক কাজে সহযোগিতা করেন।
৪। উম্মে আতিয়া আনসারি (রা.) নবিজির সঙ্গে সাতটি জিহাদে অংশগ্রহণ করেন। 
৫। উমাইয়া বিনতে কায়েস কিফারিয়া খায়বর জিহাদে অংশগ্রহণ করেন। 
৬। উম্মে হাকিম বিনতে হারিস:- 


১। ইসলাম গ্রহণের পূর্বে:-
# উহুদের যুদ্ধ:  তিনি ইকরিমা ইবনে আবি জাহল ও অন্যান্য কুরাইশদের সাথে ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধক্ষেত্রে যান।
২। ইসলাম গ্রহণের পরে:- 
# ৬৩০ সালে মুসলিমরা মক্কা বিজয় করে। এসময় উম্মে হাকিম কুরাইশ গোত্রের তার মা ফাতিম বিনতে ওয়ালিদ, হিন্দ বিনত উতবা, ফাখতা বিনতে ওয়ালীদ প্রমুখ মহিলাদের সাথে ইসলাম গ্রহণ করেন। 
# ইয়ারমুকের যুদ্ধ: উম্মে হাকিম স্বামী ইকরিমার সঙ্গে রোমানদের সাথে যুদ্ধ করার জন্য শামে যান। এই যুদ্ধে উম্মে হাকিম প্রত্যক্ষভাবে তরবারি দিয়ে যুদ্ধ করেন। উম্মে হাকিমের স্বামী ইকরিমা ইয়ারমুকের এই যুদ্ধে শাহাদত বরণ করেন।
# মারজ আল সাফারের যুদ্ধ: মারজ আল সাফারের যুদ্ধে দামেস্কের নিকটবর্তী একটি সেতুর কাছে সাতজন বাইজেন্টাইন সৈনিককে হত্যা করেন।সেতুটি বর্তমানে উম্মে হাকিম সেতু নামে পরিচিত।
৭। উম্মে আয়মান হাবশি (রা.) ওহুদ, হুনাইন, খায়বর ও মুতার যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। 
৮। উম্মে সুলাইম (রা.) খায়বর ও হুনাইনের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। 
৯। রাবি বিনতে মুয়াওয়াজ (রা.) বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। 
১০। নুসাইবা বিনতে কা’ব আল আনসারিয়াহ (রা.) ওরফে উম্মে আমারা (রা.)/উম্মে আতিয়্যাহ আল আনসারি (রা.)/নুসাইবা বিনতে হারেস: কারো কারো মতে, তাঁর নাম ছিল নুসাইবা বিনতে কাআব। উম্মে আতিয়্যাহ ছিল তাঁর উপনাম। তিনি এই নামেই প্রসিদ্ধ ছিলেন।(৬৩০-৬৯০ খৃষ্টাব্দ )।
# ইসলামের প্রথম যুগেই মুসলিম হয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি হুনায়নের যুদ্ধ, ইয়ামাহার যুদ্ধ, বায়আতে রিদওয়ান, খায়বার, মক্কা বিজয় এবং হুদায়বিয়ার সন্ধির সময় উপস্থিত ছিলেন।
# তিনিই প্রথম নারী যিনি ইসলামের জন্য যুদ্ধের ময়দানে গিয়ে যুদ্ধ করেছেন। প্রথমদিকে যুদ্ধরত সাহাবীদের সেবা-শুশ্রষা করলেও ওহুদের যুদ্ধে যখন পরিস্থিতি পরাজয়ের দিকে চলে যাচ্ছিল, এবং মহানবী (সা)-এর চারপাশে কেউ ছিল না, তখন এই নুসাইবা (রা)ই রাসূল (সা)-কে ঘিরে ধরেন এবং বিপরীত পক্ষের তীরের আঘাত হতে নবীজিকে রক্ষা করেন।
# সবচেয়ে আশ্চর্যজনক ব্যাপার, তিনি যখন উহুদ যুদ্ধে অংশ নেন তখন তাঁর বয়স ছিল ৪৩ বছর, উহুদ যুদ্ধে তিনি মারাত্মকভাবে আহত হয়েছিলেন, ১৩ টি স্থানে আঘাত লেগেছিল। আবার তিনি যখন ইয়ামামার যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন তখন তাঁর বয়স ছিল প্রায় ৫২ বছর। একজন মহিলা হয়েও তিনি সেই বয়সে যুদ্ধে অংশ নেন।
# ইয়ামামার যুদ্ধে তিনি এক হাতে বর্শা ও অন্য হতে তারবারি চালাতে চালাতে শত্রু বাহিনীর ব্যূহ ভেদ করে সামনে এগিয়ে যেতে থাকেন। এতে তাঁর দেহের এগারটি স্থান নিযা ও তরবারির আঘাতে আহত হয়। শুধু তাই নয়, একটি হাত বাহু থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতেও তিনি সিদ্ধান্ত থেকে টলেননি। এভাবে মুসায়লামা কাযযাবের( ভণ্ডনবী মুসায়লামা কাযযাব) সামনে পৌঁছে যান কিন্তু তিনি আঘাত করার আগেই মুসায়লামাকে তাঁর ছেলে আব্দুল্লাহ হত্যা করে ফেলেন।
১১। বনু কুরাইজা, হুদাইবিয়া, খায়বার, হুনাইন ও ইয়ামামার যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।

🔘 প্রথম নৌ-যোদ্ধা:- উম্মে হারাম বিনতে মিলহান (রা.)। এই নারী সাহাবি ইসলামের ইতিহাসে প্রথম নৌ-যোদ্ধা ছিলেন। ইসলামের তৃতীয় খলিফা উসমানের খিলাফতের সময় সিরিয়ার আমীর মুয়াবিয়া ইবনে আবি সুফিয়ান ২৭ হিজরিতে একটি নতুন নৌ বাহিনী গঠন করে সাগর দ্বীপ কুবরুস আক্রমণ (সাইপ্রাস অভিযান) করেছিলেন। এই কুবরুস দ্বীপ ছিল বাইজান্টাইন রোমান শাসিত একটি অঞ্চল। এই অভিযানে উম্মে হারাম তার স্বামী উবাদা ইবনে আস সামিতের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেছিলেন।


৭। ইতিহাসের সোনালি পাতা থেকে এখানে এমন কয়েকজন মুসলিম নারী স্কলারের নাম:- 

১. আয়িশা বিনতে আবু বকর : হাদিস বর্ণনা, ইসলামি আইন, ফিকহ, ইতিহাস, বংশলতিকা, কবিতা ও চিকিৎসাবিজ্ঞানে পারদর্শী ছিলেন।
২. আসমা বিনতে আবু বকর : হাদিস বর্ণনা।
৩. আয়িশা বিনতে তালহা : কবিতা, সাহিত্য, জ্যোতির্বিজ্ঞান ও নভোমণ্ডল বিষয়ে অত্যন্ত পারঙ্গম।
৪. সাকিনা বিনতে হুসাইন : কাব্য ও সাহিত্যে প্রবাদতুল্য ছিলেন।
৫. মায়মুনা বিনতে সাদ : হাদিসশাস্ত্রে পারদর্শী ছিলেন।
৬. কারিমা মারজিয়া : হাদিসের বিজ্ঞ পণ্ডিত ছিলেন। ইমাম বুখারিও তার কাছ থেকে হাদিস সংগ্রহ করেছেন।
৭. ফাতিমা বিনতে আব্বাস : প্রখ্যাত ইসলামি আইনবিদ। মিশর ও দামেস্কের প্রভাবশালী মহিলা ছিলেন।
৮. উখতে মুজনি : তিনি ছিলেন ইমাম শাফিয়ির শিক্ষক। আল্লামা মারদাওয়ি তাঁর কাছ থেকে জাকাত বিষয়ক মাসয়ালা বর্ণনা করেছেন।
৯. হুজায়মা বিনতে হায়ই : প্রখ্যাত হাদিসবিদ। ইমাম তিরমিজি ও ইবনু মাজাহ তাঁর কাছ থেকে হাদিস বর্ণনা করেছেন।
১০. ফাতিমা বিনতে আলি বিন হুসাইন বিন হামজাহ : হাম্বলি মাজহাবের বিখ্যাত পণ্ডিত। সমসাময়িক আলেমরা তার কাছ থেকে হাদিস শিখেছেন এবং প্রসিদ্ধ হাদিসগ্রন্থ দারিমি শরিফের সনদের অনুমতি নিয়েছেন।
১১. ফাতিমা বিনতে কায়স : শিক্ষাবিদ ও আইনজ্ঞ।
১২. উম্মে ফজল : হাদিস শাস্ত্রবিদ।
১৩. উম্মে সিনান : হাদিস শাস্ত্রবিদ।
১৪.শিফা বিনতে আবদিল্লাহ প্রখ্যাত আইনতাত্ত্বিক ছিলেন। ওমর (রা.) তাকে ইসলামী আদালতের ‘কাজাউল হাসাবাহ’ (Accountability court) ও ‘কাজাউস সুক’ (Market administration) ইত্যাদির দায়িত্বভার অর্পণ করেন। (সূত্র, তাবকাতে ইবনে সাদ : ৮/৪৫-৪৮; দালায়িলুন নবুয়্যাহ : ৫/৪১৬; ইবনে আসির : ৫/৪৫০; আল-বেদায়া ওয়ান নেহায়া : ৫/৭৮)

৮। নারীদের সকল কার্যক্রম পর্দা মেনে করতে হবে। এ বিধানকে হালকা মনে করা কিংবা এ বিধানকে অমান্য করার কোনো অবকাশ নেই। আল্লাহ তায়ালাই পর্দা বিধানের প্রবর্তক। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘যখন তোমরা তাদের নিকট কিছু চাইবে তখন পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এ বিধান তোমাদের ও তাদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্রতার কারণ’। (সূরা আহযাব: ৫৩) হযরত আব্দুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে রাসূলুল্লাহ (স.) বলেন, নারী পর্দাবৃত থাকার বস্তু। যখন সে পর্দাহীন হয়ে বের হয় তখন শয়তান তার দিকে চোখ তুলে তাকায়। (তিরমিযী: ১১৭৩) 

৯। ইসলামে শারীরিক দিক ছাড়া আর কোন দিক থেকে নারী-পুরুষের মধ্যে বৈষম্য বিবেচনা করা হয় না। ইসলামে নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই পুরস্কার সমান। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে : ‘“নিশ্চয় মুসলমান পুরুষ ও মুসলমান নারী, ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারী, অনুগত পুরুষ ও অনুগত নারী, সত্যবাদী পুরুষ ও সত্যবাদী নারী, ধৈর্য্যশীল পুরুষ ও ধৈর্য্যশীল নারী, বিনীত পুরুষ ও বিনীত নারী, দানশীল পুরুষ ও দানশীল নারী, রোযা পালনকারী পুরুষ ও রোযা পালনকারী নারী, যৌনাঙ্গ হেফাযতকারী পুরুষ ও যৌনাঙ্গ হেফাযতকারী নারী, আল্লাহর অধিক যিকিরকারী পুরুষ ও অধিক যিকিরকারী নারী- তাদের জন্য আল্লাহ প্রস্তুত রেখেছেন ক্ষমা ও মহাপুরস্কার।” (৩৩:৩৫).

লেখকঃ মেজর মোহাম্মদ আলী সুমন (অব:), চেয়ারম্যান, দাউদকান্দি উপজেলা, কুমিল্লা।

সদস্য – বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, কুমিল্লা জেলা উত্তর।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published.

scroll to top