পবিত্র ঈদের দিনে সবাই পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সত্যিকারের একজন সৈনিক তার পেষাগত দায়িত্ব পালনে তথা দেশের সার্বভৌমত্বের প্রহরী হিসাবে সীমান্তে সার্বক্ষণিক প্রহরা নিশ্চিতকলপে নিজেকে নিয়োজিত রেখে ঈদ আনন্দ উপভোগ করাকে গৌরবময় মনে করেন।
ঈদের দিন এমনই একটা ঘটনার স্বাক্ষী হলাম। ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ে আমার ছেলেদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর মেজর জেনারেল মাহবুবুল আলমের আন্তরিক নিমন্ত্রণে গভর্নিং বডির সম্মানিত সদস্য আমাদের বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ ঈদের সকালে পার্বত্য চট্টগ্রামের রিমোট ক্যাম্পে সৈনিক ও অফিসারদের সাথে তার ঈদের দিনের সকাল – দুপুরটি কাটান। নির্ভরযোগ্য তথ্য সূত্রে জানলাম মাননীয় সেনাপ্রধান পুরোটা দিন সৈনিকদের সাথে ঈদ আনন্দ শেয়ার করার নিয়ত করেন। ঈদের দিন আবহাওয়া অনুকূলে না থাকার কারনে সেনাপ্রধানের নিরাপত্তার কারনে তার ইচ্ছেটাকে বলিদান দিতে তিনি বাধ্য হন। বেগম সেনাপ্রধান বৈরী আবহাওয়ার খবর টেলিভিশনে শুনে সেনাপ্রধানকে অনিচ্ছাস্বত্তেও সৈনিকদের মাঝে ঈদ অনুভূতি শেয়ারে যেতে দিলেও তারবার্তা পাঠিয়ে তার সফরসূচিটি পরবর্তী কোন সুবিধাজনক সময়ে করতে অনুরোধ জানান। এত প্রতিকূলতা মাড়িয়েও তিনি ঠিকই বিকালে তার সরকারী বাসভবন তথা সেনাভবনে হোষ্ট হিসাবে স্বস্ত্রীক প্রতিটি আমন্ত্রিত অতিথি আপ্যায়নে ক্লান্তির ছাপ প্রকাশ করেন নি। ধন্যবাদ জেনারেল।
আমরা যারা কমান্ড করার প্রশিক্ষণ পেয়েছি বাংলাদেশ মিলিটারী একাডেমি হতে তারা এই অনুভূতির মর্ম বুঝি এবং তা বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করি সূযোগস্বাপেক্ষে স্বল্প কিছু ব্যাতিক্রম ছাড়া।
তাই ঈদের আনন্দটুকুন পেলো পরিপূর্ণতা। সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা ও একরাশ ভালোবাসা।
জয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
ঈদ মোবারক।
মেজর (অবঃ) আহমেদ ফেরদৌস
রিং রোড, মোঃপুর, ঢাকা।
ahmedferdous987@gmail.com