কিভাবে সংজ্ঞায়িত করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে?

" ক্লাউন, সন্ত্রাসী, গ্যান্জাম পাকানো, কমেডিয়ান, অপরিনত, নির্লজ্জ, বেহায়া, প্ররোচনাকারী, দাঙ্গাবাজ অথবা উন্মাদ?

গনতন্ত্রের জনকের দেশ বলে খ্যাত যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবনে সিনেটে ২/৩ দিন আগের ন্যাক্কারজনক ঘটনায় সমগ্র বিশ্ব হতভম্ব। এ যেনো সভ্য সমাজের গালে চপোটাগাত? গনতন্ত্রের ইজ্জতে ধংসাত্মক এই কালিমা ট্রাম্প এবং উত্তর কোরিয়ার স্বৈরশাসক কিম উল জং এর মাঝে চারিত্রিক কোন পার্থক্য খুঁজে পাই কি? 

যেদেশে Black Lives Matter নিয়ে সমগ্র আমেরিকান জনগণ এই করোনার মধ্যেও রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে বিশ্বব্যাপী নাড়া দিয়ে দেন, সেদেশে ট্রাম্প সমর্থিত সমর্থক গণের সিনেট কক্ষ দখলের সংস্কৃতিতে এই ক্ষত সমগ্র বিশ্ববাসির কাছে আমেরিকান জনগনের ইজ্জতে চরম আঘাত হেনেছে। সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বিজয়ের পর যখন ট্রাম্প একের পর এক ঝামেলা পাকাচ্ছিলো, তখন আমেরিকার জয়েন্ট চীফ অব স্টাফ কর্তৃক সংবিধানের প্রতি তাদের আনুগত্য সমগ্র গনতন্ত্র বিশ্বাসী বিশ্ববাসীর নিকট বয়ে গেছে এক স্বস্তির নিঃশ্বাস ও শীতল পরশ বুলিয়ে দিলো।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটন একজন সামরিক জেনারেল হওয়া সত্ত্বেও War of Independence এর পর তার সমর্থক কর্তৃক সেনাশাসন প্রদানের অনুরোধ প্রত্যাখান করে গনতন্ত্রের ধারায় সংবিধান সূচনা করেন। এজন্যই তাকে Founder Father নামে জনগণ আখ্যায়িত করেন। আমেরিকার ১ম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটন নিশ্চিত লজ্জিত হতেন ট্রাম্পের এই লজ্জাজনক কর্মকাণ্ডে। এজন্য ট্রাম্পের রাষ্ট্রদোহীতার মামলায় কাঠগড়ায় দাঁড় করানো ফরজ কর্ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

সংবিধান নিয়ে যখন বাতচিত করছি, তখন বাংলাদেশের সংবিধানে হাইব্রিড নেতাদের গণ অনুপ্রবেশ এবং ব্যাবসায়ী মাফিয়া সিন্ডিকেট কর্তৃক সংসদীয় গনতন্ত্রের সলিল সমাধি রোহিতকরণের সময় এসেছে। আমেরিকার গনতন্ত্রের বয়স ২০০ বছর অধিক এবং জর্জ ওয়াশিংটন গনতন্ত্রের Constitutional Convenor হিসাবে জনগনের নিমিত্তে একটি সংবিধান জাতিকে উপহার দেন। পক্ষান্তরে বাংলাদেশের সংবিধানের রচয়িতা ডঃ কামাল হোসেন ভারতীয় সংবিধান কপি পেষ্ট ও সংযোজন বিয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর তাড়াহুড়া করে যে সংবিধান জাতিকে উপহার দিয়েছেন, তা কালের পরিক্রমায় বিভিন্ন কাঁটাছেড়ার পর কতোটুকু সময়োপযোগী, তা ভেবে দেখার সময় এসেছে। 

বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বয়স অর্ধ শতাব্দী পেরুনোর এই সময়ে American Revolution ছবিটি সবাইকে দেখতে অনুরোধ জানাই এবং বাংলাদেশে সত্যিকারের গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশকে উন্নত দেশের প্রথম শ্রেণীর কাতারে নিয়ে যেতে স্বপ্ন দেখতে চাই। 

লেখকঃ- মেজর আহমেদ ফেরদৌস (অবঃ ) 

আহবায়ক – দেশপ্রেমিক সচেতন নাগরিক

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published.

scroll to top