করোনাভাইরাসের কারণে গত বছর অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে পারেনি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেট। এক বছরের জন্য স্থগিত করে দেয়া হয়। শেষ পর্যন্ত ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া- দুই দেশ নিজেদের মধ্যে অদল-বদল করে নিলো আয়োজনের সাল। ২০২০ সালের বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে ২০২১ সালে ভারতে।
ভারতও সেভাবে প্রস্তুতি শুরু করেছে। বিশ্বকাপ আয়োজন তারা করবেই। কিন্তু হঠাৎ করে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ রীতিমত বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। ভারতে দিনে লক্ষাধিক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে করোনাভাইরাসে। মৃত্যুবরণ করছে দিনে ৪ থেকে ৫ হাজার মানুষ।
এর ফলে ছয় মাস পর ভারতের মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজন নিয়ে শঙ্কায় পড়ে গেছে আইসিসি। তবে ‘ব্যাক-আপ প্ল্যান’ তৈরি রয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্বক্রিকেটের সর্বোচ নিয়ামক সংস্থা আইসিসি।
সূচি অনুযায়ী চলতি বছর অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতের মাটিতে হওয়ার কথা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। অর্থাৎ বিশ্বকাপের আর মাত্র ৬ মাস বাকি। এই অবস্থায় ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ৬ মার্চ অর্থাৎ মঙ্গলবার ভারতে নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ১৫ হাজারের বেশি মানুষ।
এরপরেই আইসিসি’র ভারপ্রান্ত সিইও জিওফ এলারডিস সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, ‘আমাদের ব্যাক-আপ প্ল্যান রয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত ভারতেই সূচি মেনে বিশ্বকাপ আয়োজনে জোর দেওয়া হচ্ছে। আমরা এখনই প্ল্যান বি নিয়ে ভাবছি না। আমরা বিসিসিআইর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছি। ঠিক সময়েই একমাত্র বিকল্প পরিকল্পনা নিয়ে এগোনোর চিন্তাভাবনা করা হবে।’
৫৩ বছরের এই অস্ট্রেলিয়ান আরও জানিয়েছেন, কোভিড-১৯ সময়ে কীভাবে খেলা চালিয়ে যাওয়া যায় তা নিয়ে অন্যান্য স্পোর্টস সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে। তিনি জানান, ‘ক্রিকেট খেলুড়ে সব দেশের সঙ্গে আমার আলোচনা করছি। পাশাপাশি অন্যান্য স্পোর্টস বডির সঙ্গে কথা বলছি। এই মুহূর্তে আমরা ভালো জায়গায় রয়েছি; কিন্তু আমাদের এটাও মানতে হবে, বিশ্ব দ্রুত পালটাচ্ছে।’
এই মুহূর্তে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নয়, জুনে ইংল্যান্ডে প্রথম ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালকে পাখির চোখ রাখছে আইসিসি। এলারডিস জানিয়েছেন, আইসিসি আপাতত বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজনকে পাখির চোখ রাখছে। সাউদাম্পটনে জুনের ১৮ থেকে ২২ তারিখ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল।
প্রথম টেস্ট বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইয়ে মুখোমুখি ভারত ও নিউজিল্যান্ড। তিনি বলেন, ‘এখনও আমরা বিশ্বকাপের টাইমলাইনের সম্মুখীন হয়নি আমরা। কিছু সময় হাতে রয়েছে। কয়েকমাসের মধ্যেই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। আপাতত সেদিকেই আমরা ফোকাস করছি।’