আফগানিস্তানকে ১৫৬ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ

লিটন দাস একাই লড়াই করলেন আফগানিস্তানের বোলারদের বিপক্ষে। মাঝে তাকে কিছুক্ষণ সঙ্গ দিয়েছিলেন কেবল আফিফ হোসেন ধ্রুব। তাতেই মিরপুরের স্লো উইকেটে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রানের স্কোর দাঁড় করিয়েছে বাংলাদেশ।

৩৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি করার পর লিটন আউট হয়েছেন ৬০ রানে। আফিফ হোসেন ধ্রুব করেছেন ২৫ রান। এছাড়া বলার মত আর কোনো ব্যাটারই দাঁড়াতে পারেননি আফগান বোলারদের সামনে।

টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের চেয়ে ভালো দল আফগানিস্তান। এটা সবারই জানা। মাঠেও তার প্রকাশ ঘটাচ্ছে রশিদ খানরা। টস জিতে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশকে শুরুতেই চেপে ধরেছে আফগানিস্তান।

টস জিতে প্রথমেই ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অভিষিক্ত মুনিম শাহরিয়ারকে পাঠানো হয় ইনিংস ওপেন করানোর জন্য। মোহাম্মদ নাঈম তো নিজেই অভিজ্ঞ।

কিন্তু এই দুই ওপেনার হতাশ করলেন। ১০ রানের জুটি গড়ার পরই বিচ্ছিন্ন হয়ে যান দু’জন। ২ রান করে আউট হয়ে যান নাঈম। মুনিম শাহরিয়ার আশা জাগিয়েছিলেন ৩টি বাউন্ডারি মেরে। কিন্তু তিনিও রশিদ খানের ঘূর্নিতে বিভ্রান্ত হয়ে আউট হলেন ১৮ বলে ১৭ রান করে।

অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসান আউট হয়ে গেলেন ৫ রান করে। একটি জুটি গড়া খুবই প্রয়োজন। সেটাই হচ্ছে না। নিয়মিত বিরতিতে একের পর উইকেট হারাচ্ছে শুধু বাংলাদেশ। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর কাছে প্রত্যাশা ছিল অনেক। কিন্তু তিনিও হতাশ করলেন। ৭ বলে ১০ রানের একটি ইনিংস খেলে আজমাতউল্লাহ ওমরজাইয়ের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে যান তিনি।

এরপর আফিফ হোসেন ধ্রুবকে নিয়ে ৪৬ রানের একটি জুটি গড়ে তোলেন লিটন দাস। এরই মধ্যে তিনি নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে গড়লেন ৫ম হাফ সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ফজল হক ফারুকির বলে আউট হলেন লিটন, ৬০ রান করে। ১২৬ রানে পড়ে ৫ম উইকেট।

আফিফ হোসেন ধ্রুবও খুব বেশিদুর যেতে পারলেন না। ১২৭ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ২৫ রানে আউট হয়ে যান তিনি। এবার বোলার ছিলেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। ইয়াসির আলি রাব্বি ৭ বলে খেলেন ৮ রানের ইনিংস। মাহেদী হাসান করেন কেবল ৫ রান। নাসুম ৩ এবং শরিফুল ইসলাম অপরাজিত ছিলেন ৪ রানে।

Share this post

PinIt

Leave a Reply

Your email address will not be published.

scroll to top