প্রেম মানে না,ধনী গরিব,ফকির বাদশা। তাইতো যুগে যুগে অনেক প্রেমের ইতিহাস রচিত হয়ে আসছে ইতবহাসের পাতায়।তেমনই এক অবৈধ প্রেমের সম্পর্কের জালে জড়িয়ে, নিজের বিবাহিত চিকিৎসক স্ত্রীকে রেখে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাঃ জামাল হোসেন পরকীয়ায় জড়িয়ে পরেন তারই অধীনস্থ নার্স কনকচাপার সাথে।
দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এ অবৈধ সম্পর্কের পথ থেকে স্বামীকে ফিরিয়ে আনতে না পেরে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অভিযোগ করেন ডা. জামাল হোসেন এর স্ত্রী ডা.ফারজানা আক্তার।
ডা. ফারজানার অভিযোগ থেকে জানা যায়,২০১৩ সালে লাকসাম পশ্চিম গাও গ্রামের মৃত আব্দুল মতিনের ছেলে জামাল হোসেন এর সাথে ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে অাবদ্ধ হয়,দুই জনেই চিকিৎসক হওয়ায় এবং দুইজনের কর্মস্থল বিভিন্ন যায়গায হওয়ার সুযোগে নারীলোভী ডা. জামাল হোসেন পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পরে তারই অধীনস্থ হোমনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর মিডওয়াফ নার্স নওগাঁ জেলার ধামুরহাট উপজেলার রাংগালঘাট গ্রামের কালাম মন্ডলের মেয়ে কনকচাপার সঙ্গে।এ নিয়ে জামাল হোসেন তার স্ত্রী ফারজানাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ফেনীর সিভিল সার্জন ডা. মীর মোবারক হোসাইনকে আহবায়ক করে, কুমিল্লা ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. শাহাদাত হোসাইনকে সদস্য ও ফেনীর দাগনভূইয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রুবাইয়াত বিন করিমকে সদস্য সচিব করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
তদন্ত কমিটি গত ২৯ নভেম্বর ২০২০ ডা. জামাল হোসেন ও নার্স কনকচাঁপার কর্মস্থল হোমনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরেজমিনে তদন্ত করে। তদন্তে অভিযুক্তরা তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের কোন সদুত্তর দিতে পারেন নাই।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ডা.জামাল হোসেন জানান, আমার স্ত্রীর অভিযোগে আনীত অভিযোগ সম্পর্কে বিস্তারিত তদন্ত কমিটির কাছে বলেছি।তদন্ত কমিটিই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবে।
তদন্ত কমিটির প্রধান ফেনি জেলার সিভিল সার্জন,ডা.মীর মোবারক হোসেন জানান,ডা. ফারজানার দায়েরকৃত অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর নির্দেশে আমরা হোমনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরেজমিনে তদন্ত করে অভিযোগের বিষয় যা পেয়েছি,তা প্রতিবেদন আকারে খুব দ্রুতই জমা দেব। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবে।