বিবাদী যেকোনো সময় যেকোনো ধরনের ক্ষতি করতে পারেন- এমন আশঙ্কা থেকে নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার বগাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোছাম্মদ মদিনা খাতুন (৪১)।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি এ সাধারণ ডায়েরি লিপিবদ্ধ করা হয়েছে বলে জানান মিঠামইন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাকির রব্বানী। তিনি প্রথম খবরকে জানান, অভিযোগটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।
জিডিতে উল্লেখ করা হয়, বিবাদী মোছা. মাহমুদা আক্তার মনির (৪৪) বাড়ি বিদ্যালয়ের পাশে। তিনি বিভিন্ন সময়ে কারণে-অকারণে বিদ্যালয়ের ভেতর প্রবেশ করে ছাত্রছাত্রীদের সামনে বাদীসহ প্রধান শিক্ষক ও সহকর্মী শিক্ষকদের উদ্দেশে কটূক্তি ও উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলে থাকেন। সেজন্য ভিকটিম ও প্রধান শিক্ষক বিবাদিনীকে প্রয়োজন ছাড়া পাঠদানের সময় বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে আসতে মানা করেন। কিন্তু তাতে তাকে ফেরানো যায়নি।
জিডিতে আরও উল্লেখ করা হয়, শিক্ষকরা বৈশ্বিক মহামারি ভাইরাস সংক্রমণ নিম্নগামীতায় সরকারের নির্দেশিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্বপ্লপরিসরে খুলে দেওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুই শিফটে বিদ্যালয়ে শ্রেণি পাঠদান চালিয়ে আসছেন। গত ১৫ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মধ্যাহ্ন বিরতির আগে ওই নারী বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে এসে ভিকটিমসহ প্রধান শিক্ষক ও সহকর্মী শিক্ষকদের উদ্দেশ করে উচ্চস্বরে বিভিন্ন ধরনের অযাচিত কথাবার্তা বলতে থাকেন। এহেন অবস্থায় তাকে বিদ্যালয়ের আঙিনা ছেড়ে চলে যাওয়ার অনুরোধ করলে তিনি উত্তেজিত হয়ে ওঠেন এবং বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেন। এতে যেকোনো সময় শিক্ষকদের বিশেষ করে ভিকটিমকে যেকোনো ধরনের ক্ষতি করার আশঙ্কা করছেন অভিযোগকারী।
শিক্ষক মোছাম্মদ মদিনা খাতুন 'বগাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিরাপদ পাঠদান উপযোগী পরিবেশ এবং শিক্ষকদের হেনস্তাহেতু মান-মর্যাদা ফিরিয়ে আনা প্রসঙ্গে' উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কাছে বিভাগীয় হস্তক্ষেপে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করেছেন।