চাকরি জাতীয়করণ হওয়া শিক্ষকদের একটি অংশের ভোগ করা টাইম স্কেলের সুবিধাদি ফেরতের যে নির্দেশনা অর্থ মন্ত্রণালয় জারি করেছে, তা বাতিলের দাবি জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষক মহাজোট। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম চৌধুরী এ দাবি তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২০১৩ সালের এক ঘোষণায় এক লাখ ৪ হাজার ৭৭২ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি যে জাতীয়করণ করা হয়েছিল, সেখান থেকে ৪৮ হাজার ৭২০ জন শিক্ষকের টাইম স্কেল ফেরত চেয়েছে সরকার। এই নির্দেশ অবিলম্বে বাতিলসহ তিন দফা দাবি পেশ করেছে জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক শিক্ষক মহাজোট। এসব দাবি না মানলে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর মানববন্ধন করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার ঘোষণা দেন আমিনুল।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে বিশাল প্রাথমিক শিক্ষক সমাবেশে দেশের ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কর্মরত ১ লাখ ৪ হাজার ৭৭২ জন শিক্ষকের চাকরি জাতীয়করণের ঘোষণা দেন। এ ঘোষণা বাস্তবায়নে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে পরিপত্র ও গেজেট প্রকাশ করা হয়। কিন্তু ২০১৭ সালের ৮ অক্টোবর এক পত্রের মাধ্যমে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে ডেকে বিধি ৯-এর উপবিধি-১ এর ভুল ব্যখ্যা দিয়ে কার্যকর চাকরির পরিবর্তে ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি জাতীয়করণের দিন ধরে জ্যেষ্ঠতার তালিকা তৈরির মৌখিক নির্দেশ দেওয়া হয়।
জাতীয়করণকৃত সহকারী শিক্ষকদের জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় যত আইন ও পরিপত্র জারি করেছে, তার কোনোটাতেই ১ জানুয়ারি ২০১৩ সাল ধরে গণনা করার কথা বলা হয়নি। এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষক জাতীয়করণের পর থেকেই পৌনে আট বছর ধরে বেতন-ভাতা ও সব সুবিধা গ্রহণ করে আসছেন। এমন পরিস্থিতিতে গত ১২ আগস্ট অর্থ মন্ত্রণালয় পৌনে আট বছর পর কর্মরত শিক্ষকদের ভোগ করা টাইম স্কেল ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে একটি পরিপত্র জারি করে।
অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জারি পত্রটি বাতিলের দাবি জানিয়ে এই শিক্ষক নেতা বলেন, অধিগ্রহণকৃত সহকারী শিক্ষকদের গেজেট অনুসারে কার্যকর চাকরিকাল ৫০ শতাংশ গণনা করে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতি দিতে হবে এবং এসএমসি কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত গেজেট থেকে বাদ পড়া প্রধান শিক্ষকদের নামের গেজেট দ্রুত প্রকাশ করতে হবে।