ইউক্রেনের ডোনবাস অঞ্চলে সামরিক অভিযানের নির্দেশ দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একই সঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন, ইউক্রেন এবং রুশ বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ অনিবার্য। খবর বিবিসির।
বৃহস্পতিবার সকালে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের সংঘাতপূর্ণ এলাকায় অবস্থানরত ইউক্রেনের সেনাদের আত্মসমর্পণ করার আহ্বান জানান তিনি।
পুতিন সেখানকার সেনাদের অস্ত্র নামিয়ে বাড়ি ফিরে যেতে বলেছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, যে কোনো ধরনের রক্তপাতের জন্য দায়ী থাকবে ইউক্রেন।
এদিকে ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যকার সংকটের কারণে জরুরি বৈঠকে বসতে যাচ্ছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে চলমান উত্তেজনায় গত তিনদিনে এ নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো বৈঠকে বসবে সংস্থাটি। দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চরমে। বেশ কিছু কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়া সেনা মোতায়েন বাড়ানোয় পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে।
বুধবার শুরুর দিকে নিরাপত্তা পরিষদকে জরুরি বৈঠকে বসার জন্য সংস্থাটির পশ্চিমা সদস্য দেশগুলো এবং কিয়েভের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়। এরপরেই নিরাপত্তা পরিষদ বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নেয়। বৃহস্পতিবার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে নাগরিকদের রাশিয়া ছাড়ার নির্দেশ দেয় ইউক্রেন। রাশিয়ায় বর্তমানে প্রায় ৩০ লাখ ইউক্রেনের নাগরিক বসবাস করছে। এমনকি অনেকেরই পরিবারের সদস্যরা এই দুই দেশেই অবস্থান করছেন।
এর পাশাপাশি জরুরি অবস্থা জারি করেছে ইউক্রেন। অপরদিকে রাশিয়া বলছে, তারা খুব শিগগির ইউক্রেনে নিযুক্ত তাদের দূতাবাস কর্মীদের সরিয়ে নেবে।এর আগে দেশটির পার্লামেন্টে বিদেশে নিজ দেশের সেনা মোতায়েনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে অনুমোদন দেন আইনপ্রণেতারা। মস্কো বলছে, ইউক্রেনে অবস্থানরত তাদের দূতাবাস কর্মীদের সুরক্ষা দিতেই এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে তারা।