সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের প্রাপ্য টাইমস্কেল প্রদানের বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক জারীকৃত দুটি পত্র জরুরী ভিত্তিতে কার্যকরের দাবীতে বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) বিকাল ৪ টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে হাজির হয়ে জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুলের মাধ্যমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক জারিকৃত ১৮৯ ও ১১০৫ নং পত্র দুটি কার্যকরের প্রথম দফা দাবিতে স্মারকলিপি জমা দেন সিরাজদিখান উপজেলাসহ জেলার আরো ৫টি উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকুরীরত ২৫ জন শিক্ষক।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ১৯৭৩ সালে দেশের প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ এবং প্রায় দেড় লক্ষ প্রাথমিক শিক্ষককে সরকারি কর্মচারীর মর্যাদা প্রদান এবং দেশের নিরক্ষর দারিদ্র পীড়িত জনগোষ্ঠীকে শিক্ষার মাধ্যমে জনসম্পদে পরিণত করার প্রথম উদ্যোগ গ্রহণ করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। একই সালের মধ্যে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা সুপারিশ করা হয়। সে সময় থেকে দীর্ঘ ৩৮ বছর পর বর্তমান সরকার গৃহীত শিক্ষানীতিতে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষার কথা বলা হলেও তা এখনো কার্যকর হয় নাই।
শিক্ষা কর্মকান্ড ৪ টি উপাদানের উপর তথা শিক্ষক, শিক্ষার্থী, পাঠ্যপুস্তক বা কারিকুলাম ও বিদ্যালয় দিয়ে অবহিত হয়। বর্তমানে এর সাথে প্রশাসন যুক্ত করা হয়েছে। সরকার শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তি প্রদান করেছেন, মেয়েদের জন্য ডিগ্রী পাস পর্যন্ত বিনা বেতনে শিক্ষার সুযোগ করে দিয়েছেন। বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক দিচ্ছেন এবং পিইডিপি৪-এর মাধ্যমে শিক্ষকদের অবজ্ঞা, অবমূল্যায়ন করে ডিজিটাল বাংলাদেশ বা মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন আদৌ সম্ভব কিনা প্রশ্ন রেখে প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে শিক্ষকগণ বেতন বৈষম্যের নির্মম পরিণতির শিকার হচ্ছেন মর্মে বলা হয়।
এছাড়া বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের যে বেতন কাঠামো রয়েছে সেটি শিক্ষকদের প্রফেশনের পরিপন্থী ও মর্যাদার সাথে প্রহসন ও শ্রেণীকক্ষে সফল পাঠদান নিশ্চিত করতে প্রশাসনিক আদেশ দিয়ে নয় বরং সন্তোষজনক বেতন অপরিহার্য উল্লেখ করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে ২০১৫ সালের ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের প্রাপ্য টাইমস্কেল প্রদানের বিষয়ে ২০২১ সালের ৩ জুন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারীকৃত ১৮৯ নং পত্র ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক ২০২১ সালের ১১ নভেম্বর জারীকৃত ১১০৫ নং পত্র জরুরী ভিত্তিতে কার্যকরের প্রথম দফা দাবীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।